বগুড়ায় মাছ ধরার সামগ্রী বেচাকেনা চলছে

বগুড়ার সারিয়াকান্দি ও ধুনট উপজেলার নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হওয়ার মধ্যে শুরু হয়েছে মাছ ধরার পালা। এরইমধ্যে মাছ ধরার নানা সামগ্রী বেচাকেনা শুরু হয়েছে।  

জিয়া শাহীন বগুড়া প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 Sept 2014, 04:19 PM
Updated : 25 Sept 2014, 04:19 PM

বৃহস্পতিবার ধুনট উপজেলার গোসাইবাড়ী বাজারে  দেখা যায়, লোকজন দার্কি, ধিয়াল (বাঁশের তৈরি মাছ ধরার যন্ত্র) তইড়াজাল, ছিপজাল, কারেন্টজাল, পেলাজাল এবং মাছ রাখার পাত্র ‘খলি’ কিনতে ব্যস্ত।

সারিয়াকান্দির দড়িপাড়া গ্রামের সোবাহান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, "দার্কিতে ছোট মাছ ধরা পড়ে। এবার বন্যায় দার্কিতে ভাল মাছ পড়ছে। তাই বেশি দাম হলেও আমি চার জোড়া দার্কি কিনেছি।"

দার্কি ও ধিয়াল বিক্রেতা হারান কুনাই জানান, প্রতি জোড়া দার্কির দাম ছয়শ টাকা এবং ধিয়ালের দাম প্রতি জোড়া ১৫শ টাকা। নতুন করে বন্যার পানি আসায় এখন দার্কি ও ধিয়ালের ক্রেতা বেড়েছে।

ধুনটের চিথুলিয়া গ্রামের সামছুল ইসলাম জানান, তিনি একজোড়া ধিয়াল ১৬শ টাকা দিয়ে কিনেছেন। গত বন্যায় ধিয়ালে বড় মাছ অনেক ধরা পড়েছে। আবার এ বন্যার  একজোড়া ধিয়াল কিনেছেন।  

বন্যার পানিতে কারেন্টজালে মাছ ভাল ধরা পড়ে, তাই  ছয়শ টাকা পাউন্ডে (স্থানীয়ভাবে ২০ হাতকে এক পাউন্ড বলা হয়) কারেন্ট জাল কিনেছেন বলে জানান ওই গ্রামের বাদশা মিয়া।

ধুনটের বানিয়াজান গ্রামের আনন্দ কুমার জানান, "গত বন্যায় প্রায় ১৫ হাজার টাকার খলি বিক্রি করেছি। নতুন করে বন্যা আসায় আবারো খলির চাহিদা বেড়েছে। তাই হাটে খলি নিয়ে এসেছি। বিক্রিও হচ্ছে ভাল। "

পেলাজাল ও সিপজাল বিক্রেতা আবু তালেব জানান, প্রতিটি পেলাজাল চারশ থেকে পাঁচশ টাকা এবং ছিপজাল ছয়শ থেকে সাতশ টাকা। নতুন করে বন্যার পানি আসার পর লোকজন এসব জাল কিনছেন।