জলবায়ু ঝুঁকি: সহায়তা বাড়ানোর আহ্বান হাসিনার

পরিবর্তিত জলবায়ুর সঙ্গে মানিয়ে নিতে বাংলাদেশসহ ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলোর জন্য সহায়তা বাড়ানোর জন্য উন্নত দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সুমন মাহবুব নিউ ইয়র্ক থেকেবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 Sept 2014, 04:12 PM
Updated : 23 Sept 2014, 05:25 PM

মঙ্গলবার নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘের জলবায়ু বিষয়ক সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে দেওয়া বক্তব্যে তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি কমানো সম্ভব না হলে পরিবির্তিত পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিতে ধারণার চেয়েও বেশি অর্থ ব্যয় করতে হবে।   

তিনি বলেন, “বায়ুমণ্ডলে কার্বন নিঃসরণ বন্ধের উপায় খুঁজে বের করার পাশাপাশি এজন্য অর্থ ব্যয়ের দিকেও উন্নতবিশ্বের নজর দেওয়া উচিত।”

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিতে সোমবার নিউ ইয়র্কে পৌঁছান শেখ হাসিনা।

সম্মেলনে জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবেলায় বাংলাদেশের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমরা সারা দেশে ৩২ লাখ সোলার সিস্টেম স্থাপনের পাশাপাশি ১৫ লাখ পরিবেশবান্ধব উন্নত চুলা বিতরণ করেছি। আমরা দুর্যোগসহনীয় শস্য উৎপাদনের দিকে যাচ্ছি।”

বক্তৃতায় শেখ হাসিনা বাংলাদেশে ‘জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক কৌশল এবং কর্মপরিকল্পনা’ বাস্তবায়িত হচ্ছে বলে জানান।

তিনি বলেন, “ঝুঁকিতে থাকা উন্নয়নশীল দেশ হলেও বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি কমাতে এবং পরিবর্তিত পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিতে বাংলাদেশ নিজস্ব উৎস থেকে ৩৮ কোটি ডলারের বেশি বরাদ্দ করেছে।”

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে বন্যা, ঘূর্ণিঝড়, লবণাক্ততা বৃদ্ধির ফলে বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এখনও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

এর নেতিবাচক প্রভাব বাংলাদেশের দুই প্রধান শস্য ধান ও গম উৎপাদনে পড়তে পারে বলে তার আশঙ্কা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “সর্বোপরি বিভিন্ন সমীক্ষায় দেখা গেছে, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে আমাদের জিডিপি ২ থেকে ৩ শতাংশ কমে যাবে।”

ঝুঁকি মোকাবেলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বেশকিছু করণীয়ও তুলে ধরেন।

টেকসই উন্নয়নের জন্য পরিবর্তিত পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া এবং ক্ষয়ক্ষতিকে মূল বিষয় হিসেবে অভিহিত করে তিনি বলেন, “পরিস্থিতি মোকাবেলায় অর্থায়নের পাশাপাশি প্রযুক্তি বিনিময় ও উন্নয়ন, সক্ষমতা অর্জন, প্রকল্পের স্বচ্ছতা প্রয়োজন।”

জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবেলায় বাংলাদেশ নিজস্ব ভবিষ্যত পরিকল্পনা (আইএনডিসি) নিয়ে এগোচ্ছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “তারপওর এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে নতুন করে বাড়তি অর্থের প্রয়োজন।”

গ্রিন ক্লাইমেট ফান্ডকে (জিসিএফ) বাংলাদেশসহ ঝুঁকিতে থাকা অন্য দেশগুলোর বিষয়টি বিবেচনায় নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “আমাদের জন্য তাদের কাছ থেকে দ্রুত এবং বড় ধরনের অর্থায়ন প্রয়োজন।”