মঙ্গলবার বিকালে গাজীপুরের চান্দনা-চৌরাস্তা এলাকায় মহাসড়ক পরিদর্শনকালে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “রাস্তা খারাপ হলে আমি টেনশনে ঘুমোতে পারি না। গত কদিনের ভারী বর্ষণের কারণে দেশের মহাসড়কগুলোর যে বেহাল অবস্থা হয়েছে সেজন্য আমি চিন্তিত, দুঃখিত।”
মন্ত্রী জানান, আগামী ঈদুল আযহা ও দুর্গা পূজাকে সামনে রেখে মহাসড়কগুলো সংস্কারের যথাযথ পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। এবার মহাসড়কের উপর ও মহাসড়কের পাশে কোনো কোরবানির পশুর হাট বসবে না। সেজন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
ঈদুল ফিতরের মতো এবারের ঈদেও ঘরমুখো মানুষদের ঘরে ফেরা নিরাপদ হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
রাস্তা মেরামতে আন্তরিকতার ঘাটতি নেই উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, “রাস্তা সচল করার জন্য আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করে যাচ্ছি। আগামী ২-৩ দিন যদি ড্রাই পাওয়া যায় তবে রাস্তা চলাচল উপযোগী হয়ে যাবে।”
ওবায়দুল কাদের বলেন, জয়দেবপুর-টাঙ্গাইল মহাসড়ক চার লেনে উন্নীতকরণের কাজ আগামী বছরের জুন মাসের মধ্যেই শুরু হবে। আর এই মহাসড়কের দুই পাশে অসৎ উদ্দ্যেশ্যে স্থাপিত স্থাপনাগুলো অপসারণ করা হবে।
এছাড়া ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক চার লেনে উন্নীতকরণ প্রকল্পের কাজ আগামী মার্চের মধ্যে শেষ হবে বরেও তিনি জানান।
এ সময় মন্ত্রী ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে আবর্জনার স্তূপ অপসারণে গাজীপুর সিটি মেয়রকে অনুরোধ করেন এবং তেলিপাড়া এলাকায় সড়কে অবৈধ ট্রাকস্ট্যান্ড অপসারণের নির্দেশ দেন হাইওয়ে পুলিশকে।
এ সময় মন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক চার লেনে উন্নীতকরণ প্রকল্পের পরিচালক কর্নেল যোবায়ের সালেহীন, উপ-পরিচালক লে. কর্নেল মো. আনোয়ার হোসেন, গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. মোহসীন, গাজীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গোলাম আবুল কালাম আজাদ, সড়ক ও জনপথ বিভাগের সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী শাহ মোহাম্মদ মুসা প্রমুখ।