মঙ্গলবার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে বিমানের পক্ষ থেকে এ কথা বলা হয়।
বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি কমিটির মুহাম্মদ ফারুক খান সাংবাদিকদের বলেন, “বিমানের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ২০১৬ সালের মধ্যে বিমান লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হবে। এছাড়া আগামী জানুয়ারির মধ্যে বিমানের শতভাগ টিকেট অনলাইনে বিক্রির ব্যবস্থা চালু হবে। অভ্যন্তরীণ রুটে বিমান চলাচলও জানুয়ারির মধ্যে শুরু হবে।”
বিমানের লোকসান কমেছে জানিয়ে তিনি জানান, ২০১২-১৩ অর্থবছরে বিমানের লোকসান হয়েছে ১৯১ কোটি ৫৮ লাখ ৫২ হাজার ২৯৭ টাকা। এর আগের অর্থবছরে বিমানের লোকসান ছিল ৫৯৪ কোটি ২১ লাখ ১৫ হাজার ২৮৫ টাকা।
সংসদীয় কমিটির কার্যপত্র থেকে জানা গেছে, চলতি বছরের অগাস্ট পর্যন্ত বিমান ১১ লাখ ৯৪ হাজার ৫১৪ জন যাত্রী পরিবহন করেছে। অন্যদিকে একই সময়ে বিদেশি এয়ারলাইন্স পরিবহন করেছে ২৬ লাখ ৪১ হাজার ৩৭৬ জন।
এর আগে ২০১৩ সালে বিমান যাত্রী বহন করেছিল ১১ লাখ ৮৭ হাজার ৩৩২ জন এবং বিদেশি এয়ারলাইন্স বহন করেছিল ৩৪ লাখ ৭৩ হাজার ৬৩৪ জন। তবে কার্গো পরিবহনে বিমানের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়নি।
কার্যপত্র থেকে আরও জানা গেছে, গত বছরের শেষ ছয় মাসে বিমানের ৬৬ দশমিক এক শতাংশ উড়োজাহাজ সময় মেনে যাতায়াত করতে পেরেছিল।
তবে আগের চেয়ে এ পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। কার্যপত্রের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী চলতি বছরের অগাস্ট পর্যন্ত বিমানের ৭১ দশমিক এক শতাংশ উড়োজাহাজ সময় মেনে যাতায়াত করছে। ২৯ দশমিক নয় শতাংশ উড়োজাহাজ নির্ধারিত সময় মেনে চলতে পারছে না।
মুহাম্মদ ফারুক খানের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরী, কামরুল আশরাফ খান, মো. আফতাব উদ্দীন সরকার, রওশন আরা মান্নান এবং সাবিহা নাহার বেগম অংশ নেন।