মঙ্গলবার দুপুরে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার কাটাখালি ব্রিজ এলাকায় এ সময় পুলিশের সঙ্গে হামলাকারীদের সংঘর্ষে তিন পুলিশসহ অন্তত নয় জন আহত হয়।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ রাবার বুলেট ছুড়েছে।
গ্রেপ্তার তারাজুল ইসলাম (৩৫) উপজেলার দরবস্ত ইউনিয়নের শাপগাছি হাতিয়াদহ গ্রামের হাফিজার রহমান ছেলে।
তারাজুল চিহ্নিত সন্ত্রাসী এবং জ্বিনের বাদশা প্রতারক চক্রের হোতা বলে পুলিশ জানিয়েছে।
গোবিন্দগঞ্জ থানার ওসি এবিএম জাহিদুল ইসলাম জানান, এ ঘটনার পর পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ওই গ্রামের মিজু আহমেদ (২২) নামে এক যুবককে আটক করেছে। মিজু স্থানীয় মোহাম্মদ আলীর ছেলে।
তাদের গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। অপর আহতদের নাম তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।
ওসি জাহিদুল ইসলাম আরো জানান, গোপন সংবাদ পেয়ে থানা পুলিশের একটি দল উপজেলার শাপগাছি হাতিয়াদহ গ্রামের প্রয়াত আফছার আলীর ছেলে আবু তালেবের বাড়ি থেকে আদালতের ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামি, চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও জ্বিনের বাদশা প্রতারক চক্রের হোতা তারাজুল ইসলামকে গ্রেপতার করে।
খবর পেয়ে তার দলের (জীনের বাদশা প্রতারক চক্র) লোকজন রংপুর-ঢাকা মহাসড়কের গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার কাটাখালি ব্রিজ এলাকায় অবোরোধ করে পুলিশের পিকআপ আটকে তাকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে।
ওসি বলেন, এ সময় অবোরোধকারীরা পুলিশ ও মহাসড়কে চলাচলকারী বেশ কিছু যাহনাবাহনে হামলা ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে ভাংচুর চালায়।
খবর পেয়ে গোবিন্দগঞ্জ থেকে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে অবরোধকারীদের ছত্রভঙ্গ করে ও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
ওসি জাহিদুল বলেন, আসামি ছিনতাই চেষ্টা ও হামলার ঘটনায় এসআই ইসমাইল হোসেন বাদী হয়ে দ্রুত বিচার আইনে থানায় একটি একটি মামলা দায়ের করেছেন।
মামলায় ১৯ জনের নাম উল্লেখসহ ১০/১২ জনকে অজ্ঞাত পরিচয় আসামি দেখানো হয়েছে।