মঙ্গলবার ভোররাতে ফরিদপুর সদর উপজেলার কানাইপুর ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
এরা হলেন- নিহতের প্রথম স্ত্রী রাশেদা বেগম (৪৫), ছেলে শাওন ব্যাপারী (২৭), মেয়ে কমলী বেগম (২৩) এবং মো. আকমল মোল্লা (৩০), শামিম রেজা (২১), আজিজুল হক (১৯), মাহফুজ মোল্লা (২৮) ও আহসান হাবিব রাজন (১৭)।
গত ১৬ সেপ্টেম্বর রাতে কানাইপুর ইউনিয়নের লক্ষীপুর গ্রামে নিজের ঘর থেকে শাজাহান ব্যাপারীর গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
১৭ বছর মালয়েশিয়া থাকার পর ৩ বছর আগে বাংলাদেশে আসেন শাজাহান (৫৫)। এরপর যশোরে তিনি আরেকটি বিয়ে করেন। তিনি হোটেল ব্যবসায় জড়িত ছিলেন।
র্যাব-৮ এর ফরিদপুর অঞ্চলের অধিনায়ক মোজাম্মেল হোসেন বলেন, “দ্বিতীয় বিয়ে করায় শাজাহানের প্রথম স্ত্রী রাশেদা ও সন্তানরা ক্ষুব্ধ হয়। মূলত পারিবারিক বিরোধের জের ধরে ৫ লাখ টাকায় ভাড়াটে খুনি মো. আকমল মোল্লাকে দিয়ে ওই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়।”
দুপুরে র্যাবের ফরিদপুর সদর দপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাবের-৮ এর উপ-অধিনায়ক মেজর মোজাম্মেল হোসেন জানান, মোবাইল ফোনের কল লিস্ট ধরে তদন্ত চালিয়ে তারা ওই হত্যাকাণ্ডে পরিবারের সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে নিশ্চিত হন।
“শাওনের পরিকল্পনায় গত ১৬ সেপ্টেম্বর ভাড়াটে সহযোগীরা শাহজাহানকে ভাতের মধ্যে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে অজ্ঞান করে। পরে গভীর রাতে তার মাথায় আঘাত করে এবং গলাকেটে হত্যা করে।
“শাওন ভাড়াটে খুনিদের সঙ্গে ৫ লাখ টাকার চুক্তি করে। টাকার লোভে তারা পরিকল্পিতভাবে এই হত্যাকাণ্ড ঘটায়।”
সংবাদ সম্মেলনে শাওন বলেন, “বাবার কারণে দীর্ঘদিন ধরে পরিবারে অশান্তি চলছিল। অনেকবার এলাকার লোকদের মুরুব্বিদের জানানো হলেও কোনো সমাধান হয়নি। তিনি পরিবারে কোন আর্থিক সহযোগিতা না করে নিয়মিত জুয়া খেলতেন। এছাড়া একাধিক নারীর সঙ্গে তার সম্পর্ক থাকায় এমন কাজ করতে বাধ্য হয়েছি।”