আপিল বিভাগের বিচারপতিদের নিয়ে প্রশ্ন তুলে চূড়ান্ত রায়ের রিভিউ আবেদন শুনতে ‘আন্তর্জাতিকভাবে নিয়োগ পাওয়া, স্বাধীন ও পক্ষপাতমুক্ত’ আদালত গঠনের আহ্বান রেখেছেন তিনি।
ব্রিটিশ এই আইনজীবী দাবি করেছেন, ট্রাইব্যুনালে সাঈদীর মৃত্যুদণ্ডের রায় বাংলাদেশে যে ‘বিভক্তির’ রেখা টেনেছে, তার অবসান ঘটাবে না আপিলের এই রায়।
জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সাঈদীকে গত বছর মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিল আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। আপিলের রায়ে গত ১৭ সেপ্টেম্বর সেই সাজা কমিয়ে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেয় আপিল বিভাগ।
সোমবার লন্ডনে এক সংবাদ সম্মেলনে জামায়াতের বিদেশি আইনজীবী ক্যাডম্যান দাবি করেন, সাজা হিসেবে আমৃত্যু কারাদণ্ড বাংলাদেশের আইনেই নেই।
যুদ্ধাপরাধের মতো অপরাধের বিচারের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের বিচারকদের জ্ঞান নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন ব্রিটিশ এই আইনজীবী।
যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালে সাঈদীর সাজা নিয়ে তখন প্রশ্ন তুলেছিলেন ক্যাডম্যান। তিনি তখন বলেছিলেন, সাজানো বিচারের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল জামায়াত নেতাকে।
আপিলের রায়েও ন্যায়বিচার হয়নি বলে দাবি করেন ক্যাডম্যান।
আপিল বিভাগের বিচারপতিদের নিয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, পাঁচ বিচারকের একজনের নাম স্কাইপ কেলেঙ্কারিতে এসেছিল। অন্যজন সাঈদীকে ঝুলিয়ে দেওয়ার পক্ষে প্রকাশ্যে অবস্থান জানিয়ে আসছিলেন।
সাঈদীকে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে’ বিচারে এই সাজা দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করে ক্যাডম্যান বলেন, দণ্ডিত এই জামায়াত নেতা ‘ন্যায়বিচার’ পাননি।
তিনি বলেন, যে হত্যাকাণ্ডের জন্য সাঈদী দণ্ডিত সেই বিসাবালীর ভাই সুখরঞ্জন বালী সরকারের কথামতো সাক্ষ্য দিতে রাজি না হওয়ায় তাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মাধ্যমে অপহরণ করে ভারতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
সাঈদীর এই রায়ে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটেছে বলেও দাবি করেন ব্রিটিশ এই আইনজীবী।