চট্টগ্রাম নগরীর পাহাড়তলী থানার ঈদগাঁ কাঁচা রাস্তার মাথা এলাকা থেকে রোববার রাতে ওই দুইজনকে গ্রেপ্তারের পর হারুনুর রশিদ নামে ওই ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করে পুলিশ।
এঘটনায় এক মহিলাসহ আট জনের বিরুদ্ধে মামলা করছে ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী।
গ্রেপ্তাররা হলেন- মাইন উদ্দিন ওরফে শাকিল (২৫) ও মোশারফ হোসেন (৪২)।
নগর গোয়েন্দা পুলিশের এসআই সন্তোষ চাকমা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “কিছুদিন আগে সুমী (২০) নামে এক তরুণী দূর-সম্পর্কের আত্মীয় পরিচয় দিয়ে ব্যবসায়ী হারুণকে ফোন করে পারিবারিক সমস্যার জন্য সাহায্য চায়।
“রোববার বিকালে মেয়েটি সাহায্যের জন্য হারুনকে ফোন করে সরাই পাড়া কাজীর দিঘী এলাকার ‘হাবিবা ম্যানসনে’ যেতে বলে। সেখানে যাওয়ার পর ওই ভবনটিরই পাঁচতলার একটি বাসায় কয়েকজন দুর্বৃত্ত তাকে নিয়ে আটকে রাখে।”
এসআই সন্তোষ বলেন, “এসময় বাসাটিতে অবস্থানরত সুমিসহ আটজন মিলে হারুনুরকে আটকে রেখে সুমীর সাথে অশ্লীল ছবি তুলতে বাধ্য করে এবং ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে।
“টাকার জন্য হারুনুর তার পাশ্ববর্তী দোকানদার বেলাল ও নাসির উদ্দিনের সঙ্গে যোগাযোগ করে একটি বিকাশ নম্বর দেয় এবং নগদ দুই লাখ টাকা নিয়ে বেলালকে ঈদগাঁ কাঁচা রাস্তার মাথায় যেতে বলে।”
এসআই সন্তোষ জানান, বেলাল বিষয়টি গোয়েন্দা পুলিশকে জানালে গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল আগে থেকে সেখানে অবস্থান নেয়।
এসময় টাকা নিতে আসা মাইন, মোশারফ ও সাইফুল নামে তিনজন টাকা নিতে আসে। তাদের দুইজনকে ধরে ফেললেও সাইফুল পালিয়ে যায়।
তিনি বলেন, “পালিয়ে গিয়ে সাইফুল বিষয়টি সুমীকে জানালে তারা হারুনুরকে কাজীর দিঘী এলাকায় ছেড়ে দিয়ে পালিয়ে যায়। পরে সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়।”
এদিকে ব্যবসায়ী হারুনুর বাদি হয়ে গ্রেপ্তার দুইজনসহ সুমী, একরাম, সাইফুলের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরও তিনজনকে আসামি করে পাহাড়তলী থানায় একটি মামলা করেছে।