রোববার রাতে ঢাকা থেকে রওনা দিয়ে সোমবার নিউ ইয়র্ক সময় সকাল ১০টায় তিনি জন এফ কেনেডি বিমানবন্দরে নামেন।
বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানান যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম জিয়াউদ্দিন এবং জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি এ কে এ মোমেন।
বিমানবন্দর থেকে শেখ হাসিনা সরাসরি গ্র্যান্ড হায়াত হোটেলে যান। এই সফরে এই হোটেলেই থাকবেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী এমিরেটস এয়ারলাইন্সের উড়োজাহাজটি প্রায় দুই ঘণ্টা দেরিতে পৌঁছায়।
শেখ হাসিনার এই সফরকে কেন্দ্র করে বিমানবন্দরের বাইরে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সমর্থকরা পাল্টাপাল্টি সমাবেশ করে বলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের নিউ ইয়র্ক প্রতিনিধি জানিয়েছেন।
শেখ হাসিনার বিমানটি পৌঁছার ঘণ্টাখানেক আগেই আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতা-কর্মীরা বিমানবন্দরের বাইরে ব্যানার হাতে অবস্থান নিয়ে সমাবেশ শুরু করে।
আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানিয়ে স্লোগান দিচ্ছিলেন। অন্যদিকে বিএনপি নেতা-কর্মীদের মুখে স্লোগান শেখ হাসিনাকে ফিরে যাওয়ার।
প্রায় ৩০০ গজ ব্যবধানে দুই পক্ষের সমাবেশই ঘিরে রাখে পুলিশ। ফলে দুই পক্ষ একে অন্যের কাছাকাছি হওয়ার সুযোগ পায়নি।
দেড় শতাধিক সফরসঙ্গী নিয়ে রোববার রাত পৌনে ১০টার দিকে নিউ ইয়র্কের উদ্দেশে রওনা হন শেখ হাসিনা।
পথে দুবাইয়ে যাত্রাবিরতি দেন তিনি। দুবাই বিমানবন্দরে তাকে অভ্যর্থনা জানাতে উপস্থিত ছিলেন সংযুক্ত আরব আমিরাতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান।
নিউ ইয়র্কে প্রধানমন্ত্রীর কর্মসূচি শুরু হবে ২৩ সেপ্টেম্বর সকালে জলবায়ু সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে।
১০ দিনের এই সফরে আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে বক্তৃতা দেবেন শেখ হাসিনা। ওই দিনই নিউ ইয়র্কে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে তার প্রথম বৈঠক হবে।
এছাড়া বেলারুশের প্রধানমন্ত্রী মিখাইল মিয়াসনিকোভিচ, কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি ও নেপালের প্রধানমন্ত্রী সুশীল কৈরালার সঙ্গেও দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বসার কথা রয়েছে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর।
শেখ হাসিনা ২৭ সেপ্টেম্বর নিউ ইয়র্ক সেন্ট্রাল পার্কে গ্লোবাল পোভার্টি প্রোজেক্ট আয়োজিত ‘বিশ্ব নাগরিক উৎসব’-এ বক্তৃতা করবেন, যা নিয়ে প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা কাজ করছে।
নয়জন মন্ত্রী ও উপদেষ্টা ছাড়াও ৭৫ জন ব্যবসায়ী এই সফরে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গী। ‘বিশিষ্ট ব্যক্তি’, সাংবাদিক ও সরকারের কর্মকর্তাদের নিয়ে এবার প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গীর সংখ্যা ১৮৪ জন।
যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফেরার পথে দুই দিন যুক্তরাজ্যে কাটিয়ে ২ অক্টোবর স্বদেশে পৌঁছাবেন প্রধানমন্ত্রী।