সোমবার সংসদীয় কমিটির বৈঠকে তারানা হালিমকে আহ্বায়ক করে এই উপ-কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন মৃণাল কান্তি দাস ও সাইমুম সরওয়ার কমল।
বৈঠক শেষে মৃণাল কান্তি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বেতারের শিল্পী সম্মানী বাড়ানোর বিষয়ে উপ-কমিটি পর্যালোচনা করে স্থায়ী কমিটিতে প্রতিবেদন জমা দেবে।”
বেতারের অস্থায়ী কর্মচারীদের চাকরি স্থায়ীকরণ প্রক্রিয়া নিয়েও এই কমিটি কাজ করবে বলে জানান তিনি।
গত জুলাইয়ে সংসদীয় কমিটির বৈঠকে বাংলাদেশ বেতারের সঙ্গীতসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী শিল্পী এবং সংবাদ পাঠকদের সম্মানী বৃদ্ধির তাগিদ দেওয়া হয়।
ওই বৈঠকে শিল্পীদের ‘ক’, ‘খ’, ‘গ’ ও ‘ঘ’ এই চার শ্রেণির বদলে শুধু ‘ক’ ও ‘খ’ শ্রেণিতে ভাগ করে সম্মানী নির্ধারণের সুপারিশও করা হয়।
সংসদীয় কমিটির কার্যপত্র থেকে জানা গেছে, সোমবার বৈঠকে কমিটির এ সুপারিশ বাস্তবায়নের অগ্রগতি জানতে চাওয়া হলে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়, বেতার নতুন শিল্পী সম্মানী কাঠামো নিয়ে সংশ্লিষ্ট শিল্পী ও অংশীজনদের আলাদা সভা করে।
সভায় শিল্পী ও অংশীজনরা চারস্তরে সম্মানী দেওয়ার পক্ষে নিজেদের মতামত তুলে ধরেন। দুই স্তরে সম্মানী দেওয়া হলে জটিলতা বাড়বে বলেও কার্যপত্রে বলা হয়।
২০০৯ সালে বেতার সর্বশেষ শিল্পী সম্মানী কাঠামো প্রণয়ন করে। পরে ২০১৩ সালে চারটি শ্রেণির বাইরে যেসব শিল্পী রয়েছে তাদেরকে কাঠামোয় আনা হয়।
কমিটির সভাপতি এ কে এম রহমতুল্লাহর সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, সুকুমার রঞ্জন ঘোষ, মৃণাল কান্তি দাস, সাইমুম সরওয়ার কমল ও তারানা হালিম অংশ নেন।
তথ্য সচিব মরতুজা আহমদ, প্রধান তথ্য কর্মকর্তা তছির আহম্মদ, বাংলাদেশ টেলিভিশনের মহাপরিচালক আবদুল মান্নান, বাংলাদেশ বেতারের মহাপরিচালক কাজী আখতার উদ্দিন আহম্মেদ, জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক এ কে এম নেছার উদ্দিন ভূঞা, বাসসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল কালাম আজাদ, চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের (ডিএফপি) মহাপরিচালক মো. লিয়াকত আলী খানসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বৈঠকে অংশ নেন।