বেহাল সড়কে ধান ও গাছ রোপন

মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলায় বেহাল কালকিনি-ভূরঘাটা সড়কের বিভিন্ন স্থানে ধানের চারা ও গাছের চারা রোপন করে প্রতিবাদ করেছেন ভোগান্তির শিকার সাধারণ মানুষ।

মাদারীপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 Sept 2014, 12:53 PM
Updated : 22 Sept 2014, 12:53 PM

কালকিনি পৌর এলাকাসহ ১৪টি ইউনিয়নে যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম এ সড়কে সোমবার সকালে অভিনব এ প্রতিবাদ করেন এলাকার বাসিন্দারা।

স্থানীয়রা জানান, সাবেক যোগাযোগম মন্ত্রী ও মাদারীপুর-৩ আসনের সাবেক সাংসদ সৈয়দ আবুল হোসেনের তৎপরতায় ২১ কোটি টাকা ব্যয়ে ৪ কিলোমিটার কালকিনি-ভূরঘাটা সড়ক নির্মাণের কাজ শুরু করে মাদারীপুর সড়ক ও জনপদ বিভাগ।

কিন্তু আগের সড়ক খুঁড়ে রেখে লাপাত্তা হয়ে যায় সংশ্লিষ্ট  ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। ফলে হাজার হাজার সাধারণ মানুষকে প্রতিদিন চরম দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে।

সড়কটির দু’পাশে রয়েছে কালকিনি উপজেলা পরিষদ, কালকিনি সৈয়দ আবুল হোসেন কলেজ, কালকিনি থানা, কালকিনি সৈয়দ আবুল হোসেন একাডেমি, কালকিনি পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, কালকিনি ফাজিল মাদ্রাসা, কালকিনি বাজারসহ উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ সব প্রতিষ্ঠান ।

স্থানীয় বাসিন্দা কেরামত আলী বলেন, ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের সংযোগ সড়ক হওয়ায় কালকিনিবাসীর রাজধানীসহ মাদারীপুর জেলা শহরে যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম এই সড়ক। তারপরেও এটি নির্মাণ করছে না।

কালকিনি কলেজের শিক্ষার্থী রুবেল বলেন, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চার বছর ধরে প্রতিদিন স্কুল কলেজের ছাত্র/ছাত্রী, শিক্ষক, অভিভাবক, সরকারি- বেসরকারি কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধিসহ সকলের চলাচল করতে হচ্ছে। অথচ দেখার কেউ নাই।

অপরদিকে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান যেটুকু কাজ সম্পন্ন করেছে তাতেও রয়েছে অনিয়মের অভিযোগ। তাই অনিয়ম দূর করে সড়কটি দ্রুত নির্মাণ করা প্রয়োজন।

এ ব্যাপারে মাদারীপুর সড়ক ও জনপদ বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী তানিমুল হক বলেন,  “ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের গাফিলতির কারণে এমন হয়েছে। আর কাজে অনিয়মের অভিযোগ আমরাও পেয়েছি। তবে ঈদের পর ছাড়া কাছ শুরু করা সম্ভব না।”