কোরবানির হাটে পশু চিকিৎসক চেয়ে রিট আবেদন

পশুর শরীরে ক্ষতিকর উপাদান পরীক্ষায় এই বছর রাজধানীর কোরবানির হাটে পশু চিকিৎসক নিয়োগের নির্দেশনা চেয়ে আদালতে একটি আবেদন হয়েছে।

সুপ্রিম কোর্ট প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 Sept 2014, 11:34 AM
Updated : 22 Sept 2014, 11:35 AM

মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে আইনজীবী মনজিল মোরসেদ সোমবার সুপ্রিম কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এই রিট আবেদন করেন।

মনজিল মোরসেদ বলেন, “চিকিৎসকের লভ্যতাসহ অন্যান্য দিক বিবেচনা করে এ বছর আমরা শুধু ঢাকা মহানগরী হাটগুলোয় চিকিৎসক নিয়োগের আবেদন জানিয়েছি।”

আবেদনে কোরবানির পশুর হাটে চিকিৎসক নিয়োগে নির্দেশনার পাশাপাশি তাদেরকে সহযোগিতা করতে র‌্যাব-পুলিশের সমন্বয়ে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর দলও চাওয়া হয়েছে।

পাশাপাশি গরু মোটাতাজাকরণ বিষয়ে নীতিমালা করতে বিশেষজ্ঞদের নিয়ে সাত দিনের মধ্যে একটি কমিটি গঠনের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে এতে।

কমিটিকে দুই মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশনাও চাওয়া হয়েছে।

এখনো জমে উঠেনি হাট, রাজধানীর কমলাপুর পশুর হাটে অলস সময় কাটাচ্ছেন বিক্রেতারা। ছবিটি বৃহস্পতিবার তোলা। ছবি: তানভীর আহমেদ/ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম

এছাড়া গরু মোটাতাজা করতে ওষুধ ব্যবহার বন্ধে নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, সেই আদেশ চেয়েছেন মনজিল মোরসেদ।

পাশাপাশি মানুষের স্বাস্থ্য রক্ষায় ব্যর্থতা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এবং অবৈধ ওষুধ ব্যবহার বন্ধে কার্যকর নির্দেশনা কেন দেওয়া হবে না, সেই আদেশও চাওয়া হয়েছে।

প্রতি বছরই কোরবানির হাটে কৃত্রিমভাবে মোটা করা পশু, বিশেষ করে গরু বিক্রি হয়। লাভের আশায় পশু ব্যবসায়ীরা গরু মোটাতাজা করতে স্টেরয়েডজাতীয় (ডেক্সামেথাসন বা ডেকাসন, বেটামেথাসন ও পেরিঅ্যাকটিন )ওষুধ ব্যবহার করে বলে অভিযোগ রয়েছে।

চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এসব গরুর মাংস খেলে মানুষের ফুসফুস ও যকৃতে পানি জমে, কিডনি দুর্বল হয় ও হৃদপিণ্ডের ক্ষতি হয়।