স্থানীয় সময় রোববার সন্ধ্যায় নিউ ইয়র্ক সিটির জ্যাকসন হাইটসের একটি পার্টি হলে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে এর প্রেক্ষাপট ব্যাখ্যা করছিলেন মুক্তিযোদ্ধা খুরশিদ আনোয়ার বাবলু। তবে মাঝপথে বাধা দেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সদস্য- সচিব আবদুল মুকিত চৌধুরী।
এ সময় তিনি বলতে থাকেন, মুক্তিযোদ্ধাদের ‘অজ্ঞাতে’ সংবাদ সম্মেলন করা চলবে না।
এ নিয়ে দু’ পক্ষের বাক-বিতণ্ডার এক পর্যায়ে হাতাহাতির উপক্রম হলে পার্টি হলের মালিক এসে সবাইকে সেখান থেকে বের করে দেন।
বাইরে বেরিয়ে খুরশিদ আনোয়ার সাংবাদিকদের বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের একজন শীর্ষ নেতার লেলিয়ে দেওয়া মাস্তানরা সংবাদ সম্মেলন করতে দিল না।”
এ সময় মুক্তিযোদ্ধা সংসদের আহ্বায়ক নূরনবী কমান্ডার অভিযোগ করেন, নিউইয়র্কে প্রধানমন্ত্রীর সর্বজনীন সংবর্ধনা কমিটিতে অনেক বিতর্কিত ব্যক্তি রয়েছে। এখানে অমুক্তিযোদ্ধাদের মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
“আমরা এসবের প্রতিবাদ করতে চেয়েছি। বাংলাদেশের জিএসপি সুবিধা চিরতরে বাতিলের জন্যে যারা কংগ্রেসম্যান নিয়ে প্রকাশ্যে মিটিং করেছেন তারাও স্থান পেয়েছেন ওই সংবর্ধনা কমিটিতে।”
তিনি বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগেও কয়েকজন ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা রয়েছেন। তাদের স্বরূপ উন্মোচন করতে চেয়েছিলাম এ সংবাদ সম্মেলনে।”
আয়োজকদের অভিযোগ, গত ২২ জুন ঢাকা থেকে প্রকাশিত একটি জাতীয় দৈনিকে নিউ ইয়র্কের একজন মুক্তিযোদ্ধা সম্পর্কে প্রকাশিত অনুসন্ধানী রিপোর্টের ফটোকপি বিতরণের সময় অভিযুক্ত ওই ‘ভুয়া’ মুক্তিযোদ্ধার নেতৃত্বে একদল লোক সংবাদ সম্মেলনে হৈ চৈ শুরু করে।
তাদের দাবি, এই ‘ভুয়া’ মুক্তিযোদ্ধাদের মদত দিচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের এক নেতা।
সংবাদ সম্মেলন আয়োজকদের মধ্যে আরও ছিলেন ড. এ বাতেন, আর আমিন, সরাফ সরকার। অন্যদিকে প্রতিবাদ জানাতে এসেছিলেন আবদুল মুকিত চৌধুরী, রাশেদ আহমেদ, এ বি সিদ্দিক প্রমুখ।