দৈনিক যুগান্তরে রোববার প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনের প্রতিক্রিয়ায় ট্রাইব্যুনালের এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলা হয়।
রায়ের জন্য অপেক্ষমান জামায়াতে ইসলামীর আমির নিজামীর মামলার নথি ‘গায়েবের’ প্রতিবেদনে যে প্রসিকিউটরদের বক্তব্য ছিল, তারাও উপস্থিত ছিলেন সংবাদ সম্মেলনে।
তিন প্রসিকিউটরের বক্তব্য সঠিকভাবে যুগান্তরের প্রতিবেদনে আসেনি বলেও সংবাদ সম্মেলনে দাবি করা হয়।
প্রধান প্রসিকিউটর গোলাম আরিফ টিপু বলেন, “আজ ২১ সেপ্টেম্বর যুগান্তর পত্রিকায় ট্রাইব্যুনালের নথি গায়েব সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন।
“সংশ্লিষ্ট রিপোর্টার জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টির লক্ষ্যে সম্পূর্ণ পরিকল্পিভাবে প্রসিকিউটরদের সম্পর্কে অহেতুক সন্দেহ ও অবিশ্বাস সৃষ্টি করার নিমিত্তে এ প্রতিবেদন করেছেন।”
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে প্রসিকিউটর রানা দাশগুপ্ত বলেন, “মামলার নথি গায়েব সংক্রান্ত কোনো ঘটনা ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশনে ঘটেনি। এটা অসৎ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে একটি মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও বিভ্রান্তিকর নিউজ করা হয়েছে।”
ট্রাইব্যুনালের কম্পিউটার থেকে নিজামীসহ অভিযুক্ত ও দণ্ডিত কারো ফাইলই মুছে ফেলা হয়নি দাবি করে তিনি বলেন, সব মামলার ফাইল প্রসিকিউশনের কম্পিউটারে সংরক্ষিত রয়েছে।
প্রসিকিউটর জেয়াদ আল মালুম, মুখলেছুর রহমান বাদল, রেজিয়া সুলতানা চমন, হৃষীকেশ সাহা, আব্দুর রহমান হাওলাদারসহ অন্যরা সংবাদ সম্মেলনে ছিলেন।
রানা দাশগুপ্ত বলেন, “যুগান্তরের প্রতিবেদনে প্রসিকিউটর জেয়াদ আল মালুম, প্রসিকিউটর রেজিয়া সুলতানা চমন ও প্রসিকিউটর মোহাম্মদ আলীর বরাত দিয়ে যে উদ্ধৃতি দেওয়া হয়েছে, তা অস্বীকার করেছেন সংশ্লিষ্ট প্রসিকিউটরগণ।”
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রসিকিউটরদের কম্পিউটার পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেও এ সংক্রান্ত কোনো ফাইল গায়েবের বিষয়টি ধরা পড়েনি।
“আমাদের কাছে সকল ডকুমেন্ট সংরক্ষিত আছে,” বলেন জ্যেষ্ঠ এই প্রসিকিউটর।
এ ঘটনার বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “প্রসিকিউশন টিম বিষয়টি নিয়ে পরামর্শ করবেন এবং আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন। এছাড়া প্রসিকিউশনের পক্ষ থেকে সরকারের কাছে যথেষ্ট নিরাপত্তা চাওয়া হয়েছে।”