ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নির্বাচনে সংঘর্ষ, নিহত ১

সহিংসতার মধ্য দিয়ে রোববার ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদরের মাছিহাতা ও বিজয়নগর উপজেলার চম্পকনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে উপ-নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 Sept 2014, 12:51 PM
Updated : 22 Sept 2014, 01:45 PM

ভোটগ্রহণ চলাকালে সংঘর্ষের সময় গুলিতে চম্পকনগর ইউনিয়নে এক যুবক নিহত হয়েছেন। আহত হন প্রায় অর্ধশত।

পুলিশ অর্ধশতাধিক রাবার বুলেট এবং টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

নিহত বাবুল মিয়া (২৫) বিজয়নগরের চম্পকনগর ইউনিয়নের সাটিরপাড়া গ্রামের আবদুল হেকিমের ছেলে।

চম্পকনগর ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান পদের পাঁচ প্রার্থী হলেন মো. আকতার হোসেন, মো. আনোয়ার হোসেন চৌধুরী, আলাউদ্দিন আল আজাদ, জাকির হোসাইন শাহআলম ও হামিদুল হামদু।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মো. মুনিরুজ্জামান জানান, নির্বাচন চলাকালে দুপুর ২টার দিকে চম্পকনগরের পেটুয়াজুরী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র দখল করে প্রার্থী হামিদুল হক হামদুর সমর্থকরা। এ সময় অপর প্রার্থী জাকির হোসাইন শাহ আলমের সমর্থকরা বাধা দিলে সংঘর্ষ বেধে যায়।

এ সময় দুদলের সমর্থকদের মধ্যে গোলাগুলি হয়। সংঘর্ষ থামাতে পুলিশ ১৬/১৭ রাউন্ড শটগানের গুলি বর্ষণ করে।

গুলিতে আহত বাবুল মিয়াকে আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

তবে, তিনি কার গুলিতে নিহত হন তা নিশ্চিত করতে পারেননি এসপি মুনিরুজ্জামান।

ময়না তদন্তের পর বিষয়টির নিস্পত্তি হবে বলে জানান তিনি।

এদিকে সদরের মাছিহাতা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে উপ-নির্বাচনে ৯ প্রার্থী  ছিলেন মোশারফ হোসেন মুন্সী, মো. হারুনুর রশীদ মুন্সী, মো. নোমান চৌধুরী, মো. আনিসুর রহমান, মো. আল আমিন, মো. মহব্বত হোসেন চৌধুরী, রাজু আহমেদ ভুইয়া সাচ্চু, মো. রফিকুল ইসলাম ও মো. ছাব্বির আহমেদ খান।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সহকারী পুলিশ সুপার তাপস রঞ্জন ঘোষ জানান, সকালে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণ শুরু হলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে প্রার্থীদের সমর্থকদের মাঝে উত্তেজনা দেখা দেয়।

দুপুর আড়াইটার দিকে কাছাইট গ্রামের বাসিন্দা ও প্রার্থী মোশাররফ হোসেন মুন্সীর লোকজন কাছাইট পূর্ব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্র দখল করে ব্যালট পেপারে সিল মারছে এমন খবর পেয়ে আটলা গ্রামের প্রার্থী আল আমিনের সমর্থকরা দেশি অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে ওই কেন্দ্রের দিকে দিকে যেতে থাকে।

এ সময় মোশাররফ হোসেন মুন্সীর লোকজন এগিয়ে এলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। এতে দুপক্ষের ৩০ জন আহত হয়। আহতরা স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়েছেন।

পরে তিনি (তাপস রঞ্জন) ও  সদর থানার ওসি আকুল চন্দ্র বিশ্বাসের নেতৃত্বে দাঙ্গাপুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাঠিপেটা ও অর্ধশতাধিক রাউন্ড রাবার বুলেট ও টিয়ার সেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

মাছিহাতা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. জাহাঙ্গীর আলম ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচন করার সময় পদত্যাগ করলে চেয়ারম্যানের পদটি শূন্য হয়।