রোববার ভোর ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের হায়াত মামুদ ভবনে নিজ কার্যালয়ের দরজা ভেঙে নাজমুল হককে অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন তার সহকর্মীরা।
হাসপাতালের বাংলা বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. বিডি বিধু বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “৯০টি ঘুমের বড়ি (ব্রোমাজিপাম) এক সঙ্গে খাওয়ার পর তার অবস্থা সঙ্কটাপন্ন। পাঁচ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গঠন করে তাকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে। ৭২ ঘণ্টার আগে কিছুই বলা যাবে না।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ড. আর এম হাফিজুর রহমান সেলিম বলেন, নাজমুল হক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রমোশন আপগ্রেড ও নিয়োগ বোর্ডের সদস্য।
“শনিবার সন্ধ্যায় ওই বোর্ডের সভা শেষে মোবাইল ফোনে কথা বলার সময় স্ত্রীর সঙ্গে তার রাগারাগি হয়। এরপর তিনি ক্যাম্পাসের বাইরে চলে যান।”
“রাত ১১টায় তিনি বাসায় না ফেরায় সন্ধান শুরু হয়। কোথাও না পেয়ে এক পর্যায়ে রাত সাড়ে ৩টায় তার কার্যালয়ে গিয়ে ভেতর থেকে দরজা বন্ধ পাওয়া যায়। দরজা ভেঙে তাকে মেঝেতে অজ্ঞান অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়।”
টেবিলের উপর ও মেঝে থেকে ৯০টি ঘুমের বড়ির (ব্রোমাজিপাম) খোসা উদ্ধার করা হয় বলে জানান ড. সেলিম।
নাজমুল হক প্রক্টর ছাড়াও কলা অনুষদের ডিন ও বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যানের দায়িত্বও পালন করছেন।
তার স্ত্রী রংপুর সরকারি বেগম রোকেয়া কলেজের বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সুরাইয়া বেগম এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. এ কে এম নূর-উন-নবী বলেন, “বিষযটি দুঃখজনক। আল্লাহর কাছে দোয়া করছি তিনি যেন দ্রুত সুস্থ্ হয়ে ফিরে আসেন।”