‘আন্তর্জাতিক শান্তি দিবস’ সামনে রেখে রোববার বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের বিজয় অডিটোরিয়ামে এক সেমিনারে তিনি এ মন্তব্য করেন।
অধ্যাপক মিজান বলেন, “দেশে বিচারকরা স্বাধীন না হলে জাস্টিস প্রতিষ্ঠিত হবে না। পরাধীন বিচারকদের কেউ কোনো আইন দিয়ে স্বাধীন করতে পারবে না।”
অবশ্য সরকার বলছে, বিচার বিভাগের জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতার জন্যই সংবিধানের এ সংশোধন।
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার এবং পেশিশক্তির রাজনীতিরও সমালোচনা করেন।
তিনি বলেন, “যতক্ষণ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহৃত হচ্ছে, সমাজে অপরাধ করলে দায়মুক্তি ঘটছে, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা যাচ্ছে না, যতোদিন ‘মাইট ইজ রাইট’ নীতি চলবে- ততক্ষণ দেশে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা সম্ভব না।”
তার এ মন্তব্যে অনুষ্ঠানে উপস্থিতরা করতালি দেন।
বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী নেইল ওয়াকার বলেন, “মানবাধিকার কেউ কাউকে চাপিয়ে দিতে পারে না। এটা উপলব্ধি করতে হয়।”
তিনি বলেন, আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা পেলে মানবাধিকারও প্রতিষ্ঠিত হয়। জাতিসংঘ দেশগুলোর মধ্যে আন্তঃযোগাযোগ বাড়িয়ে মানবাধিকার সুরক্ষায় কাজ করছে।
যুদ্ধমুক্ত বিশ্ব গড়ার লক্ষ্যে ১৯৮১ সালে জাতিসংঘে গৃহীত একটি প্রস্তাব অনুসারে প্রতি বছর সেপ্টেম্বর মাসের ‘তৃতীয় মঙ্গলবার’ জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশন শুরু দিনটি ‘আন্তর্জাতিক শান্তি দিবস’ হিসাবে পালন করা হয়।
অন্যদের মধ্যে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের উপাচার্য মেজর জেনারেল শেখ মামুন খালেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ইমতিয়াজ আহমেদ, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের সাবেক ফোর্স কমান্ডার আবু তৈয়ব মোহাম্মদ জহিরুল হক সেমিনারে বক্তব্য দেন।