মাহতাব মিনার কারাগারে

ফেনীর ফুলগাজীর উপজেলা চেয়ারম্যান একরামুল হক হত্যা মামলার প্রধান আসামি মাহতাবউদ্দিন আহম্মেদ চৌধুরী মিনারকে গ্রেপ্তারের পর কারাগারে পাঠিয়েছে ঢাকার একটি আদালত।

আদালত প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 Sept 2014, 10:53 AM
Updated : 21 Sept 2014, 10:57 AM

একরামের মৃত্যুতে শূন্য ওই উপজেলায় উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণের মধ্যে রোববার এই বিএনপি নেতাকে কারাগারে নেওয়া হল। তিনি ওই উপনির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী।

মিনার গ্রেপ্তার হওয়ার পর রোববার ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন তার এজেন্ট ও সমর্থকরা।

ফেনী জেলা জাতীয়তাবাদী তাঁতি দলের সভাপতি মিনারকে শনিবার মধ্যরাতে রাজধানীর ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতাল থেকে গ্রেপ্তার করে রাজধানীর আদাবর থানা পুলিশ।

ফেনীর এই মামলায় মিনার হাই কোর্ট থেকে ছয় মাসের আগাম জামিন পেয়েছিলেন। তবে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনে আপিল বিভাগ জামিন স্থগিত করে তাকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছিল।

এর মধ্যে মিনারকে প্রধান আসামি করে একরাম হত্যামামলার অভিযোগপত্র দেয় ফেনী পুলিশ।

অন্যদিকে নির্বাচনে প্রার্থী হয়ে মিনার ঢাকার হাসাপাতালে ভর্তি হয়ে বিচারিক আদালতে আর না যাওয়ায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে ফেনীর আদালত।      

ওই পরোয়ানা বলে তাকে গ্রেপ্তারের পর রোববার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে পাঠায় রাজধানীর আদাবর থানা পুলিশ। ঢাকা মহানগর হাকিম মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

বিএনপি নেতার পক্ষে কোনো জামিন আবেদন না থাকলেও তার আইনজীবী আব্দুল মান্নান খান তার সুচিকিৎসার ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানান।

বিচারক সেই আবেদন গ্রহণ করে কারা কর্তৃপক্ষকে কারাবিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন।

ঢাকার আদালতের মামলার খণ্ড নথিতে দেখা যায়, চিকিৎসাধীন মিনারকে শনিবার হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়।

মাহাতাব উদ্দিন আহম্মেদ চৌধুরী মিনার (ফাইল ছবি)

আদাবর থানার উপ-পরিদর্শক আমিনুল ইসলাম আদালতে পাঠানো প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন, মিনারের চিকিৎসার অগ্রগতির প্রতিবেদন দিতে এর আগে ঢাকার মহানগর হাকিম মারুফ হোসেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে বলেছিলেন। সেই সঙ্গে হাসপাতালে মিনারকে পুলিশ পাহারার রাখার আদেশও দিয়েছিলেন।

আদাবর থানার ওসি গাজী রুহুল ইমাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, আদালত পুলিশ হেফাজতে রেখেই চিকিৎসার প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছিল। ওই নির্দেশ মেনেই পুলিশ তার দায়িত্ব পালন করে আসছিল। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ছাড়পত্র দেওয়ার পর তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়।

আওয়ামী লীগ নেতা একরামকে গত ২০ মে ফেনী শহরে গাড়িতে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়। এরপর মিনারকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।পরে জামিনে বেরিয়ে আসেন তিনি।  

এরপর গত ২৮ অগাস্ট পুলিশ ৫৪ জনকে আসামি করে এই মামলার অভিযোগপত্র দেয়, তাতে মিনারকে প্রধান আসামি করা হয়।

এদিকে উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হলে মিনার আনারস প্রতীকে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হন। নির্বাচনে অন্য দুই প্রার্থী হলেন- আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল আলিম (দোয়াত-কলম) এবং মোহাম্মদ সেলিম (কাপ-পিরিচ)।