ফায়ার সার্ভিসের উপ সহকারী পরিচালক মমতাজ উদ্দিন জানান, রোববার সকাল পৌনে ১০টার দিকে উপজেলার আনারপুরায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে বসুন্ধরার ওই কারখানায় আগুন লাগে।
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের পাঁচটি ইউনিট বেলা ২টার দিকে আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনে।
মমতাজ উদ্দিন বলেন, “বৈদ্যুতিক গোলযোগ থেকে আগুনের সূত্রপাত হয় বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তবে তদন্ত না করে এ ব্যাপারে নিশ্চিত কিছু বলা যাবে না।”
এ ঘটনায় কারখানার অন্তত ছয় শ্রমিক আহত হয়েছেন। তাদের স্থানীয় বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে গজারিয়ার থানার ওসি ফেরদৌস হোসেন জানান।
আনারপুরায় মেঘনার তীরে বসুন্ধরা পেপার মিলের তৃতীয় এই ইউনিট নির্মাণ করা হয় ১৯৯৯ সালে।
প্রতিষ্ঠানটির ওয়েবসাইটের দেয়া তথ্যা অনুযায়ী, মুন্সীগঞ্জের এ কারখানায় টিশ্যু পেপার, সিগারেট পেপারসহ বিভিন্ন ধরনের বিশেষায়িত কাগজের সামগ্রী উৎপাদন করা হয়।
অগ্নিনির্বাপক কর্মকর্তা মমতাজ উদ্দিন জানান, আগুনে কারখানায় উৎপাদিত টয়লেট পেপার, ন্যাপকিন ও বিভিন্ন সামগ্রীর মোড়কসহ বিভিন্ন যন্ত্রপাতি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
তবে ক্ষয়ক্ষতির আর্থিক পরিমাণ তাৎক্ষণিকভাবে নিরূপণ করা যায়নি।
তাৎক্ষণিকভাবে অগ্নিকাণ্ডের বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি বসুন্ধরা পেপার মিলের প্রশাসনিক কর্মকর্তা তানভীর আহমেদ।
গজারিয়া ওসি জানান, আগুনের খবর পেয়ে দাউদকান্দি ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট প্রথমে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা শুরু করে। কিন্তু পরিস্থিতি আয়ত্তের বাইরে চলে যেতে থাকলে ঢাকার ডেমরা থেকে যোগ দেয় আরও দুটি ইউনিট। পরে নারায়ণগঞ্জ বন্দর ফায়ার স্টেশন থেকেও একটি ইউনিট এসে কাজ শুরু করে।
এদিকে আগুন লাগার পর মহাসড়কের পাশের এ কারখানার আশেপাশে শত শত মানুষ বৃষ্টির মধ্যেই ভিড় জমায়। তবে নিরাপত্তার কারণে কাউকে ভেতরে ঢুকতে দেয়া হয়নি বলে জানান ওসি।