পাবনা সদর থানার ওসি কাজী হানিফুল ইসলাম জানান, শনিবার রাত ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় ছাত্রাবাসের অন্তত পাঁচটি কক্ষ ভাংচুর করা হয়।
আহতদের মধ্যে কয়েকজনকে পাবনা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
ছাত্রদের বরাত দিয়ে হানিফুল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ছাত্রাবাসের নিচতলা ও দ্বিতীয় তলার ছাত্রদের মধ্যে গত দুদিন ধরে উত্তেজনা চলছিল। বিরোধ মিমাংসার জন্য ছাত্রাবাসের সুপার আব্দুল আউয়াল ও সহকারী সুপার রফিকুল ইসলাম রাতে ছাত্রদের নিয়ে বৈঠকে বসেন।
ওই সময় ডাইনিং রুমে একা পেয়ে নিচতলার ছাত্র রেজাউলকে মারধর করে প্রতিপক্ষের দুইজন। রেজাউলের সহপাঠীরা বাধা দিতে গেলে দুই পক্ষের মধ্যে শুরু হয় সংঘর্ষ।
এক পর্যায়ে ছাত্রাবাসের ১০১, ১০২, ১০৩, ১০৫ ও ১০৭ নম্বর কক্ষের দরজা ভেঙে তছনছ করা হয়।
খবর পেয়ে পুলিশ ছাত্রাবাসে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
ছাত্রাবাসের সহকারী সুপার রফিকুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমরা ছাত্রদের ঝামেলা সমাধানের জন্যে বৈঠক করছিলাম। হঠাৎ তারা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়লে পুলিশে খবর দেয়া হয়।”
হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের সম্মান দ্বিতীয় বর্ষের রেজাউল করিম ছাড়া আহত অন্যরা হলেন- তৃতীয় বর্ষের ফরহাদ, ব্যবস্থাপনা শেষ বর্ষের ইলিয়াস হোসেন, তৃতীয় বর্ষের সুজন, দ্বিতীয় বর্ষের সেলিম রেজা এবং গণিত তৃতীয় বর্ষের আব্দুল হাদী ও ইমরান হোসেন।