রাজধানীতে হরতালে মাঠে নেই জামায়াত

যুদ্ধাপরাধে আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মুক্তির দাবিতে জামায়াতে ইসলামীর দ্বিতীয় দিনের হরতালে তেমন কোনো প্রভাব পড়েনি রাজধানীর জনজীবনে।

নিজস্ব প্রতিবেদক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 Sept 2014, 03:06 AM
Updated : 21 Sept 2014, 07:03 AM

রোববার সকাল ৬টায় হরতাল শুরুর পর প্রথম দুই ঘণ্টায় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির মধ্যে রাজধানীতে জামায়াত নেতাকর্মীদের তেমন কোনো তৎপরতা দেখা যায়নি।

সকাল সোয়া ৬টর দিকে পশ্চিম শ্যাওড়া পাড়া এলাকায় কয়েকজন শিবিরকর্মী ঝটিকা মিছিলের চেষ্টা করলে পুলিশ ধাওয়া দিয়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।

এ সময় পুলিশ দুই যুবককে আটক করে বলে মিরপুরের ওসি মো. সালাউদ্দিন জানান।

এই দুইজন হলেন- ঢাকা কলেজের ছাত্র মো. রেহান ও তেজগাঁওয়ের বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব গ্লাস অ্যান্ড সিরামিকস এর ছাত্র মুত্তাকিম।

এ ছাড়া নগরীর কোথাও গোলযোগের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।

রাজধানীতে গণপরিবহনসহ বিভিন্ন ধরনের যানবাহন চলছে অনেকটা স্বাভাবিকভাবেই। গাবতলী, মহাখালী ও সায়দাবাদ বাস টার্মিনাল থেকে দূর পাল্লার বাস ছেড়ে না গেলেও স্বল্প দূরত্বের কিছু বাস গন্তব্যের উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেছে বলে পরিবহন শ্রমিকরা জানিয়েছেন।

সদরঘাট থেকে লঞ্চ এবং কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে ট্রেনগুলোও নির্ধারিত সময়ে ছেড়ে গেছে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।

হরতালে যে কোনো ধরনের নাশকতা এড়াতে সারাদেশেই কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। সকাল থেকে রাজধানীর বিভিন্ন সড়কের মোড়ে মোড়ে পুলিশ ও র‌্যাব সদস্যদের সতর্ক অবস্থায় দেখা গেছে।

একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে ট্রাইব্যুনালে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর আপিলে সাজা কমিয়ে আমৃত্যু কারাদণ্ডের রায় হয় বুধবার। এরপর তার মুক্তি দাবিতে বৃহস্পতি ও রোববার সারা দেশে মোট ৪৮ ঘণ্টার হরতালের ডাক দেয় জামায়াতে ইসলামী, যে দলের বিরুদ্ধেও যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ রয়েছে।

হত্যা, ধর্ষণ, লুটপাট, নির্যাতন ও ধর্মান্তরে বাধ্য করার মতো মানবতাবিরোধী অপরাধে ২০১৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি সাঈদীকে মৃত্যুদণ্ড দেয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

ওই রায়ের বিরুদ্ধে সাঈদীর আপিল শুনানির পর বুধবার আপিল বিভাগ সাজা কমিয়ে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেয়।

গত বছর ট্রাইব্যুনালের রায়ের পর সারা দেশে সহিংস বিক্ষোভে নামে জামায়াতকর্মীরা। তাদের তাণ্ডবে প্রথম তিন দিনেই নিহত হন পুলিশসহ অন্তত ৭০ জন। গাড়ি, বাড়ি এমনকি বিদ্যুৎ কেন্দ্রও পুড়িয়ে দেয়া হয়।