নিজ জেলা কিশোরগঞ্জ সফরের চতুর্থ দিনে শনিবার দুপুরে চামটা বন্দরে এক সমাবেশে একথা বলেন রাষ্ট্রপতি।
তিনি বলেন, “শুধু মিঠামইনের কামালপুর গ্রামই আমার বাড়ি নয়, সমগ্র কিশোরগঞ্জ জেলাই আমার বাড়ি। আমি যখন রাষ্ট্রপতির দায়িত্বে থাকব না, তখন আমি আবার আপনাদের কাছে ছুটে আসব। তবে তখন আর রাজনীতির সাথে জড়িত থাকব না।
“আমি সারাজীবন এদেশের মানুষের কল্যাণে রাজনীতি করেছি। দায়িত্ব পালনকালে অতীতে যদি কোনো ভুল করে থাকি কিংবা আমার আচরণে কেউ কষ্ট পেয়ে থাকলে আমি সবার কাছে ক্ষমাপ্রার্থী।”
এবছর হজ্জ্ব পালনের ইচ্ছার কথা জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, হজ্জ্বে যাওয়ার আগে তিনি এ তিন উপজেলার মানুষের দোয়া নেয়ার জন্যে ছুটে এসেছেন।
তিনি বলেন, “আমি দেশের ১৬ কোটি মানুষের রাষ্ট্রপতি। আমি কোনো দলের নই, সকল দলের রাষ্ট্রপতি আমি। যতদিন বেঁচে আছি, ততোদিন যেন সততার সাথে দায়িত্ব পালন করতে পারি সেজন্য সকলের দোয়া চাই।”
সমাবেশ শেষে কিশোরগঞ্জ জেলা সদরে যাওয়ার সময় করিমগঞ্জ উপজেলার জাফরাবাদে নির্মাণাধীন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ মেডিকেল কলেজের কাজের অগ্রগতি ঘুরে দেখেন তিনি। সেখানে কলেজের ছাত্র-শিক্ষকদের সাথে মতবিনিময় করেন এবং কলেজ প্রাঙ্গণে গাছের চারা রোপন করেন।
পরে দুপুরে কিশোরগঞ্জ সার্কিট হাউজে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
এসময় শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী ও কিশোরগঞ্জ-৩ আসনের সাংসদ মুজিবুল হক চুন্নু, কিশোরগঞ্জ-২ আসনের সাংসদ অ্যাডভোকেট সোহরাব উদ্দিন, কিশোরগঞ্জ-৪ আসনের সাংসদ রেজোয়ান আহাম্মদ তৌফিক এবং কিশোরগঞ্জ-৫ আসনের সাংসদ আফজাল হোসেনসহ সামরিক-বেসামরিক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।