পুড়ে ডুবে যাওয়া ট্রলার থেকে ২ লাশ উদ্ধার

চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীতে ইঞ্জিন বিস্ফোরিত হয়ে অগ্নিকাণ্ডের পর ডুবে যাওয়া ট্রলার থেকে দুজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।

এরা হলেন- নোয়াখালীর ভূইয়ারহাট এলাকার নুরুদ্দিন ভূইয়া (৪৫) ও নিজামুদ্দিন (৪২)।

সামুদ্রিক মৎস্য আহরণকারী বোট মালিক সমিতির মহাসচিব আমিনুল হক বাবুল সরকার জানান, ট্রলারের পুড়ে যাওয়া ইঞ্জিন রুম থেকে শনিবার বিকাল ৩টার দিকে একজনের এবং সন্ধ্যা ৬টার দিকে আরেকজনের লাশ পাওয়া যায়।

আমিনুল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ওই দুজনই ইঞ্জিন বিস্ফোরণে পুড়ে গিয়ে মারা যান। সন্ধ্যা নাগাদ ট্রলারটিকে টেনে তীরের কাছাকাছি আনা হয়েছে।

শনিবার বেলা ১১টার দিকে চট্টগ্রামের ফিশারিঘাট সংলগ্ন নদীতে একটি মাছ ধরার ট্রলারের ইঞ্জিন বিস্ফোরিত হয়ে চারজন আহত হন। এদের মধ্যে তিনজনই দগ্ধ হন, যাদের একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।

ফিশারীঘাট সংলগ্ন নদীতে নোঙর করা এমভি মনির নামের ট্রলারে এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে কোতয়ালি থানার হাবিলদার শহিদুর রহমান জানান।

তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ট্রলারটি চালু করার সময় এর ইঞ্জিন বিস্ফোরিত হয়ে আগুন ধরে যায়। পরে ট্রলারটি ধীরে ধীরে ডুবে যেতে থাকে। সেখানে পানি কম থাকায় ট্রলারটি পুরোপুরি ডোবেনি।

আগুনে মো. লিটন (৩০),  নুরুদ্দিন (৪৩) ও মো. আকবর  (২০) নামে ট্রলারের তিনজন দগ্ধ হন। এ সময় হুড়োহুড়িতে মো. আলমগীর (৪৫) নামে আরেকজন আঘাত পেয়েছেন।

আহতদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

লিটনের শরীরের ৯৫ শতাংশ পুড়ে গেছে বলে হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের প্রধান মৃণাল কান্তি দাশ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন।