পটুয়াখালী সওজের ১৪ লাখ টাকার সংস্কার জলে

পটুয়াখালী শহরের প্রবেশ মুখে সওজ-এর গুরুত্বপূর্ণ সড়কটি ফের খানাখন্দে ভরে গেছে।

পটুয়াখালী প্রতিনিধিসঞ্জয় কুমার দাস বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 Sept 2014, 03:53 PM
Updated : 20 Sept 2014, 04:28 PM

গত জুনে শহরের পুরাতন ফেরিঘাট থেকে ব্রিজের টোলঘর পর্যন্ত সড়কটি সংস্কার করা হয়। এরই মধ্যে রাস্তাটি বেহাল হয়ে পড়ায় ক্ষুব্ধ এলাকবাসী। যান চলাচলে বিঘ্নসহ ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে মানুষজন।

কোনোরকমে কাজ চালাতে স্থানীয় এক ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান খানাখন্দে ইট ফেলছে বলে জানায় এলাকাবাসী।

স্থানীয় কোহিনুর অটোরাইস মিল কর্তৃপক্ষ জানায়, তাদের ট্রাক যেন খাদে না আটকে পড়ে সেজন্য কোম্পানির পক্ষ থেকে ইট ফেলা হয়েছে।

তবে পটুয়াখালী সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জহিরুল ইসলাম বলেন, চুক্তি অনুযায়ী কাজ হয়েছে এবং সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার সড়কে ইট ফেলতে শুরু করেছেন।

বৃষ্টির পানি জমে সড়কে মাঝে মধ্যে গর্ত হয়েছে দাবি করেন এই নির্বাহী প্রকৌশলী।

সওজ দপ্তর থেকে পাওয়া তথ্যে জানা যায়, খানাখন্দে বেহাল হয়ে পড়ায় সংস্কারের জন্য গত অর্থ বছরের ১৯ ডিসেম্বর সড়কটি পুনঃনির্মাণ উন্নয়ন কাজের জন্য ফের দরপত্র আহ্বান করা হয়।

গত ১৮ মার্চ ১৪ লাখ ৪২ হাজার ৫০৪ টাকার মেসার্স সোহেল এন্টারপ্রাইজ কার্যাদেশ পায়।

স্থানীয়দের অভিযোগ, এক সপ্তাহের মধ্যে তড়িঘড়ি করে সড়কের কাজটি শেষ করেছে ঠিকাদার।

সওজ-এর অপর ঠিকাদার ফরিদ আহমেদ দাবি করেন, সড়কটির সংস্কারের নিয়ম না মেনেই দায়সারাভাবে করা হয়েছে।

তিনি বলেন, “কার্যাদেশ অনুযায়ী আধকিলোমিটার সড়কটি খুঁড়ে পাথর-খোয়া-বালির মিশ্রণে বেইজমেন্ট করার পর পাথর দিয়ে বেইজকোট কাপের্টিং করার কথা।”

ব্রিক এজিং করার কথা থাকলেও তা করা হয়নি। প্রাইম কোট করে সবশেষে গুঁড়ো পাথর দিয়ে সিল কোটের মাধ্যমে সড়কটি মেরামত কাজ সম্পন্ন করার কথা চুক্তিতে রয়েছে যার কোন কিছুই করা হয়নি বলে জানান এই ঠিকাদার।

সড়কটি না খুঁড়ে খোয়া দিয়ে খানাখন্দ ভরে শুধু গুড়া পাথর আর বিটুমিনের সিলকোট করা হয়েছে। এ কাজে একটি পাথরও ব্যবহার করা হয়নি দাবি ঠিকাদার ফরিদের।