প্রথম সমুদ্রযাত্রায় ১৩ নারী ক্যাডেট

প্রথমবারের মতো রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন জাহাজে কাজ করার সুযোগ পেলেন ১৩ নারী মেরিন ক্যাডেট।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 Sept 2014, 02:44 PM
Updated : 20 Sept 2014, 02:44 PM

শনিবার বিকালে চট্টগ্রাম বন্দরে বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনের (বিএসসি) মালিকানাধীন ‘বাংলার শিখা’ জাহাজে তাদের বরণ করেন নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান।

বাংলাদেশ মেরিন অ্যাকাডেমি থেকে পাশ করা এই নারী ক্যাডেটরা তাদের লেখাপড়ার প্রায়োগিক কাজের (ইন্টার্নশিপ) অংশ হিসেবে ‘বাংলার শিখাসহ’ পাঁচটি জাহাজে এক বছর কাজ করবেন।

২০১২ সালে ৪৮ তম ব্যাচে প্রথমবারের মতো ২০জন নারী শিক্ষার্থী মেরিন অ্যাকাডেমিতে ভর্তি হন।

‘বাংলার শিখায়’ নিয়োগ পাওয়া ইঞ্জিন ক্যাডেট লাভলী দাশ ও ডেক ক্যাডেট বিউটি আক্তারের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দিয়ে নৌমন্ত্রী বলেন, “আগে নারীরা গাড়ি ও বিমান চালিয়েছে। এখন থেকে তারা জাহাজও চালাবে।”

দিনটিকে বাংলাদেশের জন্য ‘ঐতিহাসিক’ বলে উল্লেখ করেন শাজাহান খান।

জাহাজে নিয়োগ পাওয়া নারী ক্যাডেটদের নিরাপত্তা নিয়ে কারো কারো উদ্বেগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে আমরা প্রতিটি জাহাজে একাধিক নারী ক্যাডেট নিয়োগ দিয়েছি।”

বিএসসি’র পাঁচটি জাহাজের সাথে চীন সরকারের সহায়তায় আরো ছয়টি জাহাজ কেনার কথা জানিয়ে সেসব জাহাজেও নারী ক্যাডেটদের নিয়োগ দেয়ার আশ্বাস দেন নৌমন্ত্রী।

“বাংলাদেশের সব ক্যাডেটদের চাকরি নিশ্চিত ও আন্তর্জাতিক বাজার সৃষ্টির জন্য সরকার কাজ করে যাচ্ছে।”

পুরুষের পাশাপাশি ভবিষ্যতে নারীরাও বিদেশের বিভিন্ন জাহাজে কাজ করবে বলে আশাপ্রকাশ করেন শাজাহান খান।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সব নারী ক্যাডেটকে চাকরি দেয়ার আশ্বাস দিয়ে তিনি বলেন, “একটা সময় পর্যন্ত কাজ করার পর নারী ক্যাডেটদের বিভিন্ন প্রশাসনিক বিভাগে নিয়োগ দেয়া হবে এবং অন্যদেরও সুযোগ দেয়া হবে।”

মেরিন ক্যাডেটদের ভিসা সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানের প্রতিশ্রুতিও দেন নৌমন্ত্রী।

“আমরা জানি তাদের ভিসা সংক্রান্ত জটিলতায় পড়তে হয়। বিষয়টি আমরা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জানিয়েছি। কিছুদিনের মধ্যেই আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।”

এরপর মন্ত্রী চট্টগ্রাম বন্দরের নতুন টাগবোট ‘কাণ্ডারি-১১’ এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।