আগের দিন দয়াগঞ্জের আল-মদিনা হাসপাতালে সিজারের পর রাতে এক নারীর মৃত্যুর ঘটনায় শনিবার মালিকপক্ষের দুইজনকে আটক করা হয় বলে যাত্রাবাড়ী থানার ওসি অবরি শংকর কর জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, তাহমিনা আক্তার (২০) নামে এক নারী প্রসব ব্যথা নিয়ে বৃহস্পতিবার রাতে আল-মদিনা হাসপাতালে ভর্তি হন। শুক্রবার সকালে হাসপাতালে তার সিজার করা হয়। একটি মেয়ে হয় তাহমিনার। পরে রাত সাড়ে ১২টার দিকে তিনি মারা যান।
ইসমাইলের ভাগ্নি জামাই মো. খোকন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, শুক্রবার সকালে পুরান ঢাকার ন্যাশনাল হাসপাতালের আবাসিক সার্জন আসমা জেসমিন মদিনা হাসপাতালে গিয়ে তাহমিনার সিজার করেন।
১৫ মিনিটে সিজার করে আসমা অপারেশন থিয়েটার থেকে বের হয়ে হাসপাতাল থেকে চলে যান জানিয়ে তিনি বলেন, “বিকালে তাহমিনার কাছে আমরা গেলে তাকে ছটফট করতে দেখি। এই সময় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ব্যবস্থা নিতে বললে তারা আসমা জেসমিনকে ফোন করে। কিন্তু তিনি তখন সাভারে এক বিয়ের অনুষ্ঠানে ছিলেন।
“এ সময় অন্যদের বলতে শুনেছি যে, সিজারের সময় সময় ডাক্তার কিছু একটা বেশি কেটে ফেলেছেন। তাই তাহমিনার অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হচ্ছে এবং সমস্যা হচ্ছে।”
খোকন বলেন, “শুক্রবার রাত ১২টার দিকে চিকিৎসক জেসমিন হাসপাতালে আসেন। তখন তাহমিনার দেহ নিথর হয়ে পড়ে। তখন জেসমিন রোগীকে লালমাটিয়ার একটি ক্লিনিকে নিতে বলেন। যাওয়ার পথে তাহমিনাকে কাকরাইল ইসলামিয়া হাসপাতালে নিলে জরুরি বিভাগ থেকে জানানো হয় তিনি আগেই মারা গেছেন।”
চিকিৎসক ও কর্তৃপক্ষের অবহেলায় তাহমিনার মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
ওসি অবরি শংকর বলেন, স্বজনদের অভিযোগের ভিত্তিতে লিটন ও রিপন নামে আল-মদিনা হাসপাতালের মালিকপক্ষের দুজনকে আটক করা হয়েছে।
ময়নাতদন্তের জন্য তাহমিনার লাশ স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এটি তাহমিনার প্রথম সন্তান এবং মেয়েটি সুস্থ রয়েছে জানিয়ে খোকন বলেন, শিশুটি তার নানীর বাসায় রয়েছে।