‘এদের থেকেই বিশ্বমানের ক্রীড়াবিদ আসবে’

গ্রীষ্মকালীন জাতীয় স্কুল ও মাদ্রাসা ক্রীড়া প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে আগামী দিনের সম্ভাবনাময় ক্রীড়াবিদ বিশ্ব প্রতিযোগিতায় অংশ নেবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 Sept 2014, 07:10 AM
Updated : 20 Sept 2014, 10:44 AM

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর আয়োজিত ৪৩তম গ্রীষ্মকালীন জাতীয় স্কুল ও মাদ্রাসা ক্রীড়া প্রতিযোগিতার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “এই প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে আগামী দিনের সম্ভাবনাময় ছেলে-মেয়েরা বিশ্ব প্রতিযোগিতায় এগিয়ে যাবে।”

শনিবার সকালে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে এই সমাপনী অনুষ্ঠানে বিজয়ী দলগুলোর মধ্যে পদক বিতরণ করেন শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, “আজকে যারা বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় পুরস্কার পেয়েছে- এদের মধ্য থেকেই উঠে আসবে আগামী দিনে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের ক্রীড়াবিদ। বাংলাদেশের ছেলে-মেয়েরা বিশ্বে রেকর্ড গড়ে তুলবে।

“আমি সব সময় চেয়েছি- খেলাধুলাকে গুরুত্ব দিতে। খেলাধুলার প্রতিযোগিতা, সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা মানুষের শারীরিক ও মানসিক শক্তিকে বৃদ্ধি করে।”

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উদ্যোগে ‘বাংলাদেশ জাতীয় স্কুল ও মাদ্রাসা ক্রীড়া সমিতি’ গঠনের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, “জাতির পিতা ১৯৭২ সাল থেকে স্বাধীন বাংলাদেশে এই ক্রীড়া অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করেন। আজ এটি দেশের ঐতিহ্যবাহী একটি ক্রীড়া প্রতিযোগিতা।”

তার সরকার স্কুল ও মাদ্রাসা ক্রীড়া প্রতিযোগিতার নতুন মাত্রা দিয়েছে-মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, “প্রতিবছর গ্রীষ্ম ও শীতকালে এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হচ্ছে। উপজেলা থেকে জেলা, জেলা থেকে উপঅঞ্চল, উপঅঞ্চল থেকে অঞ্চল ও সর্বশেষ জাতীয় পর্যায়ে এ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।”

বিরামহীন বৃষ্টি উপেক্ষা করে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের গ্যালারি ছিল এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া ছাত্র-ছাত্রীতে পূর্ণ। প্রধানমন্ত্রী স্টেডিয়ামে প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গে সবাই হর্ষধ্বনি দিয়ে তাকে স্বাগত জানান। প্রধানমন্ত্রীও ছাত্র-ছাত্রীদের উদ্দেশ্যে হাত নাড়েন। 

সবাইকে অভিনন্দন জানিয়ে বৃষ্টির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে। এই বৃষ্টির মধ্যেও যে উদ্দীপনা নিয়ে ছাত্র-ছাত্রীরা এখানে উপস্থিত। আমি জানি যে কোনো দুর্যোগ আসলে বাংলাদেশের জনগণ, বাংলাদেশের শিশু-কিশোর, বাংলাদেশের ছাত্র-ছাত্রী, বাংলাদেশের মানুষ, সব ধরনের দুর্যোগ মোকাবেলা করে এগিয়ে যাবে। এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশকে কেউ রুখতে পারবে না। বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে।”

শিক্ষার্থীরা যেন বৃষ্টিতে ভিজে অসুস্থ হয়ে না পড়ে সেজন্য পূর্বনির্ধারিত এই অনুষ্ঠান সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে বলে প্রধানমন্ত্রী তার সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে উল্লেখ করেন।

তিনি বলেন, “এখানে ডিসপ্লে করার কথা ছিল। আগামীতে যখন আবহাওয়া ভালো থাকবে- আবার আমরা এই ডিসপ্লের ব্যবস্থা করব।”

সমাপনী অনষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ সভাপতির বক্তব্য রাখেন।

অনুষ্ঠানে শিক্ষা সচিব মোহাম্মদ সাদিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ফাহিমা খাতুন এবং ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান তাসলিমা বেগম উপস্থিত ছিলেন।