মগবাজার হত্যাকাণ্ড: ‘আরো খুনের পরিকল্পনা ছিল’ 

রাজধানীর মগবাজারে তিন খুনের সঙ্গে ‘জড়িত’ আরো ছয়জন গ্রেপ্তার হয়েছেন, যারা সরাসরি হত্যাকাণ্ডে অংশ নিয়েছিলেন বলে র‌্যাবের দাবি।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 Sept 2014, 04:25 AM
Updated : 20 Sept 2014, 05:45 PM

অর্থের বিনিময়ে গত ২৮ অগাস্ট তিনজনকে হত্যার পর এরা অস্ত্র কিনে আরো হত্যাকাণ্ড ঘটনার পরিকল্পনা করেছিল বলেও র‌্যাব জানিয়েছে।

শুক্রবার রাতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে এই ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরা হলেন- আল আমিন (২৫), সাইফুল সিয়াম (২৪), রমজান আলী (২০), রুবেল মিয়া ওরফে সানি (২৫), মারুফ হোসেন (২৬) ও শাফিন লস্কর (২৫)।

র‌্যাবের মুখপাত্র মুফতি মাহমুদ খান শনিবার বাহিনীর সদর দপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, এই হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে রয়েছে মগবাজারের সোনালীবাগ চান বেকারী গলির মসজিদের পাশের রেলওয়ের সোয়া এক কাঠা খাস জমির দখল নিয়ে বিরোধ।

সিয়াম এই হত্যাকাণ্ডের পর আরো একটি অস্ত্র কেনার পরিকল্পনার কথা জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন বলে র‌্যাব কর্মকর্তা জানান।

“এই অস্ত্রের সাহায্যে সে টিএন্ডটি কলোনি এলাকায় নিজের আধিপত্য বিস্তারের জন্য মামলার বাদি কালা চান ও তার বন্ধু  শোভন, মোশাররফসহ আরো দুই-একজনকে হত্যার পরিকল্পনা করছিল।”

র‌্যাব জানায়, চান বেকারি গলির রেলের ওই জমিটি এক সময় ‘শীর্ষ সন্ত্রাসী’ জিসানের ঘনিষ্ঠ সহযোগী সন্ত্রাসী রনির দখলে ছিল। দুই  বছর আগে রনি গ্রেপ্তার হওয়ার পর তার সহযোগী কালা বাবু, সিয়ামরা এটির দখলে নিয়ে ভাড়ার টাকা তোলা শুরু করে। রনি জামিনে বের হয়ে দুবাই পালিয়ে গেলে জমিটি সম্পূর্ণভাবে কালাবাবুরা ভোগ করতে থাকে।

সম্প্রতি মগবাজারের টিঅ্যান্ডটি কলোনিতে আনসার হত্যা এবং ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা মাহবুবুর রহমান রানা হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় কালা বাবু, সিয়ামরা গা ঢাকা দিলে এ জমির অর্ধেক অংশ কালা বাবুর মামাত ভাই রনি কালা চাঁনের সহযোগিতায় পুনর্দখল করে নেয় বলে র‌্যাব জানায়।

২৮ অগাস্ট রাতে গুলিতে কালা চাঁনের বোন বৃষ্টি আক্তার ওরফে রানু (৩০) এবং ভাড়াটিয়া মুন্না (২২) ও বিল্লাল হোসেন (২০)নিহত হন।

বৃষ্টি ওই জমিতে তোলা দুটি টিনশেড ঘর রনির কাছ থেকে কিনেছিল বলে মগবাজার রেলওয়ে ইউনিট আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শামিম ওরফে কালা চাঁন জানান। এই হত্যামামলার বাদী তিনি।

র‌্যাব জানায়, বৃষ্টির কাছে ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেছিল কালা বাবু। কিন্তু বৃষ্টি ও তার ভাই কালা চাঁন কোনো টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় তাদের হত্যার পরিকল্পনা করে কালা বাবু।

মামলার প্রধান আসামি কালা বাবুসহ ছয়জনকে এর আগে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এর মধ্যে কালা বাবু কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন।