শুক্রবার রাতে চট্টগ্রামের থিয়েটার ইন্সটিটিউট মিলনায়তনে অনুষ্ঠান চলাকালেই মারা গেলেন ৭৫ বছর বয়সী এই শিল্পী।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত থিয়েটার ইন্সটিটিউটের পরিচালক আহমেদ ইকবাল হায়দার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ওস্তাদ আজিজুল ইসলামকে সম্মাননা দিতে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বংশীবাদন শুরু করেন ওস্তাদ আজিজুল ইসলাম। এ সময় তবলা বাজাচ্ছিলেন পণ্ডিত বিজন চৌধুরী।
“তবলা বাজাতে বাজাতেই হঠাৎ থেমে যান বিজন চৌধুরী। এরপর তার মাথাটি হেলে পড়ে বুকের কাছে।”
তাকে দ্রুত চট্টগ্রাম মেডিক্যাল সেন্টার নামে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসকরা জানান হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে তার।
১৯৩৯ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার এক সংস্কৃতিমনা পরিবারে বিজন চৌধুরীর জন্ম। ছোটবেলায় তালিম নিয়েছেন পণ্ডিত শিব শংকর মিত্র ও ওস্তাদ এরশাদ আলী খাঁর কাছে।
কলকাতা ও লখনৌয়ে তবলা শিখে এসে ষাটের দশকে বুলবুল একাডেমীতে নৃত্যের ক্লাসে সংগতকারের কাজ নেন বিজন চৌধুরী। পরে যোগ দেন বাংলাদেশ বেতারে।
১৯৯৮ সালে বাংলাদেশ বেতার চট্টগ্রাম কেন্দ্র থেকে অবসরে গেলেও ভারত ও বাংলাদেশের বহু কৃতি সংগীত শিল্পীর সঙ্গে একমঞ্চে তবলা বাজিয়ে আসছিলেন বিজন চৌধুরী।
তিনি বাংলাদেশের তবলাবাদকদের অনেকেরই শিক্ষাগুরু। শাস্ত্রীয় সংগীতের বিভিন্ন অ্যালবাম ছাড়াও একসময় ছায়াছবির গানের জন্যও তবলা বাজিয়েছেন তিনি।
দুই ছেলের জনক বিজন চৌধুরী থাকতেন নগরীর কোতোয়ালী এলাকার হেমসেন লেনের পৈত্রিক বাড়িতে।