বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী শুক্রবার নয়াদিল্লির রাষ্ট্রপতি ভবনে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ কথা বলেন।
দুই দেশের যৌথ পরামর্শক কমিশনের (জেসিসি) মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে যোগ দিতে দিল্লি সফর করছেন মাহমুদ আলী। দায়িত্ব পাওয়ার পর দেশের বাইরে এটাই তার প্রথম সফর।
ভারতের রাষ্ট্রপতি সচিবালয়ের তথ্য অনুযায়ী, আলোচনায় প্রণব মুখার্জি দুই দেশের সম্পর্কোন্নয়নে জেসিসিকে ‘ভালো একটি পদ্ধতি’ হিসেবে অভিহিত করেন।
তিনি বলেন, “সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও জোরালো এবং বিস্তৃত হয়েছে। স্বার্থসংশ্লিষ্ট প্রায় সব ক্ষেত্রেই দুই দেশ উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে।
“এখন এসব সিদ্ধান্তের দ্রুত বাস্তবায়ন প্রয়োজন। এখন যোগাযোগ বাড়ানোর বিষয়েও কাজ করা জরুরি।”
বৈঠকে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “বাংলাদেশ সব ক্ষেত্রেই এগিয়ে যাচ্ছে এবং শেখ হাসিনার সরকার দেশকে আধুনিক যুগে পৌঁছে দেয়ার দ্বারপ্রান্তে রয়েছে।
“ভারতের সঙ্গে সহযোগিতা বাড়ানোর অনেক সুযোগ রয়েছে। এজন্য দুই পক্ষকেই যৌথভাবে বড় ধরনের উদ্যোগ নিতে হবে।”
শনিবার দুই দেশের যৌথ পরামর্শক কমিশনের মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এ বৈঠকে নিরাপত্তা, বাণিজ্য, যোগাযোগ, জ্বালানি, পানিসম্পদ, সীমান্ত ব্যবস্থাপনা, অবকাঠামো খাতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার পাশাপাশি দুই দেশের জনগণের সম্পর্কোন্নয়ন, সংস্কৃতি, পরিবেশ এবং শিক্ষা নিয়ে আলোচনা হবে বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।
গত রোববার মন্ত্রণালয়ের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, ভারতের কাছে বৈঠকে নিরাপত্তার বিষয়টি প্রাধান্য পাবে। আর বাংলাদেশ দুটি নির্দিষ্ট প্রস্তাব- নদী ব্যবস্থাপনা এবং বঙ্গোপসাগরে সম্পদ আহরণের ব্যাপারে সহযোগিতার বিষয়ে গুরুত্বের সঙ্গে আলোচনা করবে।
সেই সঙ্গে সীমান্ত চুক্তি কার্যকরের জন্য সুনির্দিষ্ট সময়সীমাও চাওয়া হবে।
২০১১ সালে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের ঢাকা সফরের সময় দুই পক্ষের সম্মতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করা এই কমিশনের তৃতীয় বৈঠক এটি।