সাগর-রুনি খুন তদন্তে আরো সময়

সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করার জন্য আরো সময় পেয়েছেন নতুন তদন্ত কর্মকর্তা।

আদালত প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 Sept 2014, 07:15 PM
Updated : 18 Sept 2014, 07:15 PM

বৃহষ্পতিবার  মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার দিন ধার্য ছিল। কিন্তু মামলার নতুন তদন্ত কর্মকর্তা র‌্যাবের সহকারী পুলিশ সুপার ওয়ারেছ আলী মিয়া সময় চাইলে ঢাকার মহানগর হাকিম অমিত কুমার দে আগামী ২ নভেম্বর  পর্যন্ত প্রতিবেদন  দাখিলের সময় বাড়িয়ে দেন।

মামলার নথিপত্র সূত্রে জানা যায়, এ নিয়ে ২৮ বার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ পেছাল।

গতানুগতিক বক্তব্য রেখে ওয়ারেছ মিয়া তদন্তের অগ্রগতির প্রতিবেদনে বলেছেন, “যুক্তরাষ্ট্রের পরীক্ষাগার থেকে ডিএনএ পরীক্ষার রিপোর্ট পাওয়া গেছে। ডিএনএ রিপোর্ট ও অপরাধ চিত্রের প্রতিবেদন বিস্তারিতভাবে পর্যালোচনা করা হচ্ছে। মামলাটি স্পর্শকাতর বলে অতি সতর্কতার সঙ্গে বিশেষ গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করা হচ্ছে।”

এই প্রতিবেদনের পর্যবেক্ষণ করে বিচারক বলেছেন, তদন্ত কর্মকর্তা এখনও এ মামলার চাক্ষুস সাক্ষী সাগর-রুনির ছেলে মাহির সারওয়ার মেঘের ১৬১ ধারায় জবানবন্দি গ্রহণ করেননি। তাদের মা নূরুন্নাহার মির্জা, ভাই নওজেস আলম রিমনের ১৬৪ ধারার জবানবন্দি গ্রহণের কোনো ব্যবস্থা নেননি। অথচ তদন্ত কর্মকর্তা তা করতে পারতেন।

“মোবাইল ফোন কোম্পানির কাছ থেকেও সাহায্য নিতে পারতেন। যে সব  সিমকার্ডধারীরা  হত্যার আগে বা সময়ে নিহতদের সঙ্গে কথা বলেছিলেন।”

ফাইল ছবি

নিহতদের বাড়ির নৈশপ্রহরী পলাশ এবং আমানুল ওরফে হুমায়ুনকে পুনরায় হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদও তদন্ত কর্মকর্তা করতে পারেন বলে বিচারক মত প্রকাশ করেন।

ওই আদালতে পুলিশের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক মো. হুমায়ুর কবির মোল্লা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, এই মামলায় গত ১৮ মার্চ নতুন তদন্ত কর্মকর্তা আদালতে একটি আবেদন দাখিল করে এ মামলার তদন্তভার গ্রহণের অনুমতি চান। পরদিন আদালত তা মঞ্জুর করে।

সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্তের অগ্রগতি জানতে চেয়ে গত ১৬ মার্চ ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত তদন্ত কর্মকর্তার কাছে প্রতিবেদন তলব করেছিল।

২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাতে রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারে নিজেদের ভাড়া বাসায় খুন হন সাগর-রুনি।

এরপর তিন তদন্ত কর্মকর্তা শেরেবাংলা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জহুরুল ইসলাম, ডিবি পুলিশের পরিদর্শক রবিউল আলম ও র‌্যাবের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার জাফর উল্লাহর হাত ঘুরে বর্তমানে র‌্যাবের সহকারী পুলিশ সুপার ওয়ারেছ আলী মিয়া মামলাটি তদন্ত করছেন।

মামলাটি দীর্ঘ সময় তদন্ত করেছেন র‌্যাবের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার জাফর উল্লাহ। সম্প্রতি তিনি জাতিসংঘ মিশনের দায়িত্ব নিয়ে দেশের বাইরে গেছেন।

আলোচিত এ হত্যাকাণ্ডের আট মাস পর ২০১২ সালের ১০ অক্টোবর বনানী থানার একটি হত্যা ও ডাকাতি মামলায় আটক পাঁচ আসামি মিন্টু, বকুল মিয়া, কামরুল হাসান অরুণ, রফিকুল ইসলাম ও আবু সাঈদকে এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

ওইদিনই আরো দুই আসামি রুনির কথিত বন্ধু তানভীর রহমান ও বাড়ির দারোয়ান পলাশ রুদ্র পালকে গ্রেপ্তার এবং পরবর্তীতে অন্য দারোয়ান এনাম আহমেদ ওরফে হুমায়ুন কবিরকে গ্রেপ্তার করা ছাড়া তদন্তে দৃশ্যমাণ আর কোনো অগ্রগতি নেই।