শেষ হলো সংসদ অধিবেশন

শেষ হলো দশম সংসদের তৃতীয় অধিবেশন। এই অধিবেশনেই বুধবার বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদের কাছে ফিরিয়ে দিতে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধন বিল পাস হয়েছে।

সংসদ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 Sept 2014, 06:05 PM
Updated : 18 Sept 2014, 06:05 PM

এছাড়া বিরোধী দলীয় উপনেতা মনোনয়ন নিয়ে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ এবং বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদের মধ্যে ‘দ্বন্দ্ব’ এই অধিবেশন চলাকালীন আলোচনার বিষয় ছিল।

বৃহস্পতিবার বিকালে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনের সমাপ্তি সংক্রান্ত রাষ্ট্রপতির আদেশ পাঠ করার মধ্য দিয়ে অধিবেশনের ইতি টানেন।

সমাপনী বক্তব্যে শিরীন শারমিন দেশ ও জতির সমৃদ্ধি কামনা করে সংসদ পরিচালনায় সংসদ নেতা, বিরোধী দলীয় উপনেতাসহ সকলকে ধন্যবাদ জানান। 

এসময় সকল সংসদ সদস্যকে ধন্যবাদ এবং দেশবাসীকে আগামী ঈদের অগ্রিম শুভেচ্ছা জানান।

গত ১ সেপ্টেম্বর শুরু হয় এই অধিবেশন। অধিবেশনে মোট কার্যদিবস ছিল ১৮ টি।

সংসদের বাইরের বিএনপি এবং জ্যেষ্ঠ আইনজীবিদের বিরোধিতার মধ্যে এই অধিবেশনে গত ৭ সেপ্টেম্বর সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বিল উত্থাপন করেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। পরে সংসদীয় কমিটির পরীক্ষার শেষে বিলটি বুধবার পাস হয়।

বিরোধী দল জাতীয় পার্টি গত ৩১ অগাস্ট তাদের সংসদীয় দলের সভায় বিলের বিরোধিতা করার সিদ্ধান্ত নিলেও পরে অবস্থান পরিবর্তন করে। বুধবার বিলটির পক্ষে ভোটও দেয় তারা।

জাতীয় পার্টির বিরোধী দলীয় উপনেতা মনোনয়ন নিয়ে দলের চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ ও বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদের ‘দ্বন্দ্ব’ এই অধিবশেন চলাকালীন বেশ আলোচনায় ছিলো।

কাজী ফিরোজ রশীদকে বিরোদী দলীয় উপনেতা করতে দু’জনই স্পিকারকে পাল্টা চিঠি দেন।

এছাড়া বিরোধী দলীয় প্রধান হুইপ তাজুল ইসলাম চৌধুরী এবং স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী মশিউর রহমান রাঙ্গাকে জাতীয় পার্টির সভাপতিমণ্ডলীর পদ থেকে সরিয়েও দেন এইচ এম এরশাদ। বিষয়টি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে ‘নালিশ’ জানান রাঙ্গা ও তাজুল।

এর ধারাবাহিকতায় সংসদ লবিতে জাতীয় পার্টির মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু এবং মশিউর রহমান রাঙ্গার মধ্যে গত ১১ সেপ্টেম্বর ‘বিতণ্ডা’র ঘটনা ঘটে।

গাজায় ইসরায়েলি হামলার নিন্দা জানিয়ে গত ২ সেপ্টেম্বর সংসদে সর্বসম্মতভাবে একটি প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়।

সংসদ সচিবালয়ের তথ্য অনুযায়ী, এ অধিবেশনে আসা ১৪টি সরকারি বিলের মধ্যে সংবিধান সংশোধনসহ মোট ৫টি বিল পাস হয়।

কার্যপ্রণালী-বিধির ৭১ বিধিতে ৫৪৪টি নোটিস পাওয়া যায়। যার মধ্যে ২৭টি গ্রহণ করে ১৪ টি নিয়ে সংসদে আলোচনা হয়। ৭১ (ক) বিধিতে দুই মিনিটের আলোচিত নোটিসের সংখ্যা ১৩৫ টি।

প্রধানমন্ত্রীর উত্তর দেয়ার জন্য মোট ১৬৩টি প্রশ্ন পাওয়া যায়, এরমধ্যে তিনি ৫২ টি প্রশ্নের উত্তর দেন। বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীদের উত্তর দেয়ার মোট ২ হাজার ৫৭৯টি প্রশ্ন পাওয়া যায়। যার মধ্যে মন্ত্রীরা উত্তর দিয়েছে ২ হাজার ৩৬০টি।