গত ১৫ সেপ্টেম্বর এটি কারনির প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী জিএসএলআইয়ে আইটি আউটসোর্সিং, অফশোরিংয়ে বিশ্বের ৫০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ২৬তম।
আর ব্যবসাসংশ্লিষ্ট ব্যয় সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান শীর্ষে।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) সভাকক্ষে ‘মিট দ্য প্রেস’ অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানান বেসিস সভাপতি শামীম আহসান।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
শামীম আহসান বলেন, “এই রিপোর্টের ফলে বড় বড় আন্তজার্তিক বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশ সম্পর্কে জানতে পারবে এবং বাংলাদেশ বিনিয়োগকারীদের আকর্ষণ করতে পারবে।
“এই রিপোর্টের মাধ্যমেই বিনিয়োগকারীরা কোন দেশে তাদের পরবর্তী বিনিয়োগ করবে তা ঠিক করে।”
বেসিস সভাপতি জানান, সূচক নির্ধারণে দেশগুলোর আর্থিক বিষয়ে সুযোগ-সুবিধা, দক্ষ জনবল ও তাদের সহজলভ্যতা এবং ব্যবসার পরিবেশ এ তিনটি বিষয়কে বিবেচনায় নেয়া হয়।
প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ বলেন, “কোনো জায়গায় যদি পিছিয়ে থাকি তাহলে লজ্জাবোধ করি না, বরং আমি গর্বিত এজন্য যে, ২০০৮ সালের আগে সব জায়গায় পিছিয়ে ছিলাম, মাত্র পাঁচ বছরের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে এসেছি।
“গত পাঁচ বছরে আইসিটি সেক্টরে যে অগ্রগতি হয়েছে এ রিপোর্টের মাধ্যমে তার স্বীকৃতি পেয়েছি, যে পাঁচ লাখ তরুণ আইসিটি সেক্টরে কর্মরত রয়েছে, এ অর্জন তাদের।”
প্রতিমন্ত্রী বলেন, তৃণমূল পর্যন্ত ইন্টারন্টে কানেকটিভিটি করতে চাই, আশা করছি ২০১৮ সালের মধ্যে ফাইবার অপটিক বাংলাদেশের ইউনিয়ন পরিষদ পর্যন্ত নেয়া হবে।”
আগামী দুই বছরে ৫৫ হাজার ফ্রিল্যান্সার তৈরি করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, “প্রতিটি ইউনিয়ন ইনফরমেশন সেন্টার ডিজিটাল সেন্টারে রূপান্তর করা হবে। যা হবে ই-কমার্স সেন্টার, বিজনেস হাব। সাড়ে চার হাজার ইউনিয়ন পরিষদকে ডিজিটাল সেন্টারে রূপান্তর করা হবে।
“এছাড়া আগামী এক বছরের মধ্যে হাইটেক পার্কের দৃশ্যমান অবকাঠামো উন্নয়নের কাজ শুরু করতে পারবো, আগামী ১০ বছরে এই পার্কে ৬৩ হাজার তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থানের সুযোগ হবে।”
অনুষ্ঠানে বেসিসের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট রাসেল টি আহমেদ, নির্বাহী পরিচালক সামি আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ২০১০ সালে বিশ্বখ্যাত তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক গবেষণা প্রতিষ্ঠান গার্টনারের আউটসোর্সিংয়ে বিশ্বের শীর্ষ ৩০টি দেশের তালিকায় স্থান করে নিয়েছিল বাংলাদেশ।