সাঈদীর রায়ের একদিন বাদে বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে ব্রাসেলসে ইউরোপীয় পার্লামেন্টে পাস হওয়া একটি প্রস্তাবে এই সন্তোষের কথা জানানো হয়।
একাত্তরে হত্যা,ধর্ষণ, ধর্মান্তরের মতো মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সাঈদীকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিল বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
২০১৩ সালে ওই রায় দেওয়ার পর মৃত্যুদণ্ডের বিরোধী ইউরোপের দেশগুলো তা নিয়ে অসন্তোষ জানিয়েছিল।
ওই রায়ের বিরুদ্ধে সাঈদীর আপিল বিবেচনায় নিয়ে বুধবার আপিল বিভাগের রায়ে সাজা কমিয়ে আমৃত্যু কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়।
এতে বলা হয়, সাঈদীর মৃত্যুদণ্ডের পরিবর্তে আজীবন কারাদণ্ডের যে রায় বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট দিয়েছে, তাকে তারা স্বাগত জানাচ্ছে।
একাত্তরের যুদ্ধাপরাধের বিচারকারী ট্রাইব্যুনালের আন্তর্জাতিক মানদণ্ড নিয়ে বিভিন্ন মহলের প্রশ্ন তোলার বিষয়টিও ইউরোপীয় পার্লামেন্টের প্রস্তাবে উল্লেখ করা হয়েছে।
এক্ষেত্রে আসামির আপিলের সুযোগ রাখার কথাও বলে আসছে সরকার, যেখানে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের সময় এই সুযোগটি ছিল না।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিয়ে আন্তর্জাতিক নানা মহলের তোলা প্রশ্নে তীব্র ক্ষোভও বিভিন্ন সময় প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
গত ২ সেপ্টেম্বর সংসদে বক্তব্যে গাজায় ইসরায়েলি অভিযান প্রশ্নে পশ্চিমা দেশগুলোর নির্লিপ্ততার অভিযোগ এনে তিনি বলেন, “... যারা আমাদের দেশে কিছু হলে চিঠি পাঠায়, তারাও চুপ।
“মানবাধিকারবিরোধী অপরাধীর ফাঁসি ঠেকাতে আমেরিকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী, জাতিসংঘের মহাসচিব ফোন করেন, এখন তারা কোথায়?”