গত বুধবার রাতে আটক ওই যুবকের নাম এসএম ইমন ওরফে সুমন। তিনি বাঘারপাড়া উপজেলার রায়পুর কৃষ্ণনগর গ্রামের বদরউদ্দিনের ছেলে।
কোতোয়ালি থানার এসআই শাহীনুর রহমান জানান, এ ঘটনায় বুধবার রাতেই সুমনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেছে বিজিবি।
অভিযোগের বরাত দিয়ে শাহীনুর জানান, বিজিবির মহাপরিচালক বরাবর লেখা সুপারিশপত্রে উল্লেখ করা হয়- ‘যশোর জেলা ও আশপাশের এলাকার কয়েক ব্যক্তি আসন্ন বিজিবির সৈনিক পদে চাকরির আবেদন করেছে। তাদের অভিভাবকদের একান্ত অনুরোধের প্রেক্ষিতে এবং আমার পূর্ব পরিচিত হওয়ায় চাকরি দেয়ার জন্য আপনার সুদৃষ্টি কামনা করছি।’
সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে গত ৪ সেপ্টেম্বর সুমনকে প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত করা হয়। ওই দিন ব্যাটালিয়ন থেকে বের হওয়ার পর কিছু দুর্বৃত্তরা তার কাছ থেকে প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত হওয়ার সনদ ছিনিয়ে নেয়।
“ঘটনার পর সুমন বিজিবির কাছে অভিযোগ করলে তাকে অভিভাবকসহ ৫ সেপ্টেম্বর দপ্তরে আসতে বলা হয়। কিন্তু সেদিনের পর থেকে সে অনুপস্থিত থাকে। বিষয়টি বিজিবির সদর দপ্তরকে জানানো হয়। পরে সদর দপ্তর থেকে যশোর ব্যাটালিয়নকে জানানো হয় সুমনের জমা দেয়া সুপারিশপত্রে মন্ত্রীর সিল-স্বাক্ষর ভুয়া।”
একই সুপারিশপত্রে আরো চারজনের জন্য সুপারিশ করা হয়েছে বলে বিজিবির করা অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।
এরা হলেন- জসিম উদ্দিন (জিডি নং ২৩০১৪৮), আনোয়ার হোসেন ওরফে জিল্লুর রহমান (জিডি নং ২৩০০৪৫), জাকির হোসেন (জিডি নং ২৩০১২০) এবং সৌরভ হোসেন (জিডি নং ২৩০২২৫)।
তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে কিনা সেব্যাপারে কিছু জানাতে পারেননি এসআই শাহীনুর।