বৃহস্পতিবার সকালে উদ্ধার করা যুবকটি অসুস্থ হয়ে পড়ায় তার কাছ থেকে কোনো তথ্য এখনো পাওয়া যায়নি। তবে পুলিশের ধারণা, হত্যার উদ্দেশ্যেই ওই যুবককে বস্তায় পুরে পানিতে ফেলে দেওয়া হয়েছিল।
চকবাজার থানার ওসি আজিজুল হক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ওই যুবকের নাম মো. সোহেল এবং বাড়ি কেরানীগঞ্জ শুধু এটুকুই জানা গেছে।
স্থানীয়রা জানায়, সকাল সাড়ে ৬টার দিকে কামালবাগের কাছে নদীতে সাদা রঙের একটি প্লাস্টিকের বস্তা ভাসতে দেখে এটিকে তীরে এনে খোলা হয়। তখন এক যুবকের নিথর দেহ পাওয়া যায়। এক পর্যায়ে সে শ্বাস নিতে শুরু করলে সঙ্গে সঙ্গে তাকে নেওয়া হয় মিটফোর্ড হাসপাতালে।
সিদ্দিক হোসেন নামে একজন ট্রাকচালক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “কয়েকজন বস্তাটি নদী থেকে তুলে আনলে মনে হচ্ছিল ভেতরে লাশ। কিন্তু একটু একটু শ্বাস নিতে দেখে আমার কাছে মনে হল, সে মরে নাই। সঙ্গে সঙ্গে মিটফোর্ডে নিয়ে যাই, সেখানে তার জ্ঞান ফিরে আসে।”
ওসি আজিজুল হক বলেন, “সে শুধু নিজের নাম সোহেল এবং বাসা কেরানীগঞ্জ বলতে পারছে। সে পুরোপুরি সুস্থ নয়। সুস্থ হলে জানা যাবে তাকে কারা, কেন বস্তায় ভরে নদীতে ফেলেছিল।”
সোহেল নামে ওই যুবক বর্তমানে মিটফোর্ড হাসপাতালে ক্যাজুয়েলটি ওয়ার্ডে ভর্তি রয়েছে।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক রাশেদুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ওই যুবকের শরীরে মারধরের চিহ্ন রয়েছে, তবে ধারালো অস্ত্র বা অন্য কিছুর জখমের কোনো চিহ্ন নেই।