যুদ্ধাপরাধ: আজহারের রায় যে কোনো দিন

জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামের বিরুদ্ধে একাত্তরের যুদ্ধাপরাধ মামলার রায় হবে যে কোনো দিন।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 Sept 2014, 07:55 AM
Updated : 29 Dec 2014, 05:10 AM

হত্যা, ধর্ষণ, অপহরণসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের ছয়টি অভিযোগ রয়েছে জামায়াতে ইসলামীর এই সহকারী সেক্রেটারি জেনারেলের বিরুদ্ধে।

দুই পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ বৃহস্পতিবার মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ (সিএভি) রাখেন।

প্রসিকিউটর জেয়াদ আল মালুম বৃহস্পতিবার প্রসিকিউশনের পক্ষে ট্রাইব্যুনালে সমাপনী বক্তব্য উপস্থাপন করেন।

আর আজহারের আইনজীবী আব্দুস সুবহান তরফদার ও শিশির মোহাম্মদ মুনির গত ১৪ সেপ্টেম্বর যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ করেন।

যুদ্ধাপরধের ছয় ঘটনায় অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে গত বছর ১২ নভেম্বর আজহারের বিচার শুরু করে ট্রাইব্যুনাল।

রংপুর অঞ্চলে গণহত্যা চালিয়ে ১ হাজার ২২৫ ব্যক্তিকে হত্যা, চারজনকে খুন, ১৭ জনকে অপহরণ, একজনকে ধর্ষণ, ১৩ জনকে আটক ও নির্যাতন এবং শতশত বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ ও লুণ্ঠনের অভিযোগ আনা হয়েছে জামায়াতের এই সহকারী সেক্রেটারি জেনারেলের বিরুদ্ধে।

অভিযোগে বলা হয়েছে, ১৯৭১ সালে যখন মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়, আজহার তখন রংপুরের কারমাইকেল কলেজের একাদশ শ্রেণীর ছাত্র এবং জামায়াতে ইসলামীর তখনকার ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্রসংঘের রংপুর শাখার সভাপতি। জেলার আলবদর বাহিনীরও নেতৃত্বে ছিলেন তিনি।

এছাড়া আজহার পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় মানবতাবিরোধী অপরাধের পরিকল্পনা, ষড়যন্ত্র ও তা বাস্তবায়নে সক্রিয়ভাবে জড়িত থেকে অপরাধ সংঘটন করেন বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।

২০১২ সালের ১৫ এপ্রিল এটিএম আজহারের যুদ্ধাপরাধের তদন্ত শুরু হয়।  ওইবছর ২২ অগাস্ট মগবাজারের বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

তদন্ত শেষে প্রসিকিউটর এ কে এম সাইফুল ইসলাম ও নূরজাহান বেগম মুক্তা গতবছর ১৮ জুলাই আজহারের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করেন। এরপর  নভেম্বরে অভিযোগ গঠন করে ২৬ ডিসেম্বর শুরু হয় সাক্ষ্যগ্রহণ।

এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (আইও) এম ইদ্রিস আলীসহ প্রসিকিউশনের পক্ষের মোট ১৯ জন সাক্ষ্য দেন। তবে সপ্তম সাক্ষী আমিনুল ইসলামকে বৈরি ঘোষণা করা হয়।

এছাড়া আজহারের যুদ্ধাপরাধের একজন ‘ভিকটিম’ ১৪ নম্বর সাক্ষী হিসাবে ক্যামেরা ট্রায়ালে জবানবন্দি দেন।

চলতি বছর ৩ ও ৪ আগস্ট আজহারের পক্ষে একমাত্র সাফাই সাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দেন আনোয়ারুল হক।