অমীমাংসিত বিষয়গুলোতে জোর দেবেন মাহমুদ আলী

ভারত ও বাংলাদেশের সম্পর্ককে এগিয়ে নিতে দুই দেশের মধ্যকার অমীমাংসিত বিষয়গুলোর সুরাহা হতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 Sept 2014, 05:55 AM
Updated : 18 Sept 2014, 12:32 PM

প্রথম দ্বিপক্ষীয় সফরে বৃহস্পতিবার সকালে নয়া দিল্লির উদ্দেশ্যে ঢাকা ছাড়ার আগে বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের একথা বলেন তিনি।

মন্ত্রী বলেন, “দুই দেশের বিদ্যমান সম্পর্কের গভীরতা অনস্বীকার্য। কিন্তু একে আরো এগিয়ে নিতে উভয়পক্ষকে কাজ করতে হবে।

“আমরা আরো গভীর সম্পর্ক চাই এবং তার জন্য অমীমাংসিত বিষয়গুলোর নিষ্পত্তি চাই আমরা। এটা অবশ্যই হতে হবে।”

সাতজন সচিবসহ বড় একটি প্রতিনিধি দল নিয়ে সকাল সোয়া ১০টায় দিল্লির উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন মন্ত্রী। তার সফরসঙ্গীদের মধ্যে পররাষ্ট্রসচিবও রয়েছেন।

সফরে তৃতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক ও যৌথ পরামর্শক কমিশনের (জেসিসি) সভায় যোগ দেবেন মন্ত্রী। গত মে মাসে ভারতে ক্ষমতা বদলের পরে এটাই হবে এ ধরনের প্রথম বৈঠক।

নিরাপত্তা, বাণিজ্য, যোগাযোগ, বিদ্যুৎ, পানি সম্পদ, সীমান্ত ব্যবস্থাপনা, অবকাঠামো, দুই দেশের জনগণের মধ্যে যোগাযোগ, সংস্কৃতি, পরিবেশ ও শিক্ষাসহ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের সব ক্ষেত্রের অগ্রগতি পর্যালোচনা হবে এ বৈঠকে।

এর আগে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একাধিক কর্মকর্তা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ঝুলে থাকা তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি সই এবং স্থল সীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়নের বিষয়ে ভারতের কাছে সুনির্দিষ্ট সময়সীমা জানতে চাইবেন মন্ত্রী।

এ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে সরাসরি কোনো উত্তর না দিয়ে মন্ত্রী বলেন, “আমরা বিষয়গুলো নিষ্পত্তির চেষ্টা করছি। এটা একটা ধারাবাহিক প্রক্রিয়া।”

এ বিষয়ে ঢাকার কোনো তাগাদা আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, “অবশ্যই আছে।”

স্থল সীমান্ত চুক্তি ভারতের পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভায় অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে। আর পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরোধিতার পর আড়াই বছরের বেশি সময় ধরে আটকে আছে তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, দুই দেশের সম্পর্ক এগিয়ে নেয়া এবং একে আরো ‘গভীর ও গতিশীল’ করাই তার এ সফরের লক্ষ্য।