বুধবার সন্ধ্যা ৬টার দিকের ওই ঘটনায় পুলিশকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনের জন্য ৯ রাউন্ড গুলি ছুড়তে হয়। এঘটনায় পুলিশ ৬ জামায়াত নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে।
কাপাসিয়া থানার সহকারি উপ-পরিদর্শক মো. আফজাল হোসেন বলেন, “সন্ধ্যায় কাপাসিয়ার খিরাটী বাজারে এক প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ মিছিল বের করে জামায়াত কর্মীরা। এসময় থানা পুলিশ তাতে বাধা দিতে গেলে জামায়াত কর্মীর সঙ্গে সংঘর্ষ বেধে যায়।”
তিনি জানান, সংঘর্র্ষে কাপাসিয়া থানার ওসি আহসান উল্লাহ, থানার এসআই আফছার আহমেদ, কনস্টেবল আবুল কালাম, আনসার ইউসুফ, জামায়াত নেতা ইমতিয়াজ হোসেন বকুল, জসিম, রতন মাস্টারসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন।
আহত ওসি আহসান উল্লাহ জানান, বিক্ষোভ মিছিলে বাধা দিলে জামায়াত শিবির পুলিশের উপর হামলা চালায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ৯ রাউন্ড গুলি ছোঁড়া হয় এবং ঘটনাস্থল থেকে ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এঘটনায় গ্রেপ্তাররা হলেন, ঘাগটিয়া ইউনিয়ন জামায়াতের সভাপতি খিরাটি এলাকার মো. আমিন উদ্দিন মোল্লা (৬০), কামারগাও এলাকার জালাল উদ্দিন (৫০), মোশারফ হোসেন (৫০) ও মাসুদুর রহমান (৪৩) এবং নরসিংদীর মনোহরদী এলাকার আবুল কাশেম (১৮) ও মিজানুর রহমানকে (২০)।
অপরদিকে ঘটনার পর কাপাসিয়া উপজেলা শহরে আওয়ামী লীগ হরতাল বিরোধী মিছিল করেছে। উপজেলা শহরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।