পুলিশের এই দুই কর্মকর্তা বাদীর নিরক্ষরতার সুযোগে হত্যার ঘটনাটিকে অপমৃত্যু হিসেবে দেখিয়ে মামলা করিয়েছেন বলে বাদী অভিযোগ করেছেন।
তবে ওসি শওকত হোসেন অভিযোগ সত্য নয় বলে দাবি করেছেন।
বুধবার দিনাজপুর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন বীরগঞ্জ উপজেলার সাতোর রাজবাড়ী গ্রামের আব্দুর রউফ।
লিখিত বক্তব্যে আব্দুর রউফ বলেন, গত ৫ সেপ্টেম্বর তার বোন মর্জিনাকে তার স্বামী সামুদ্দিন মারপিট করে মুখে বিষ ঢেলে দেয়। বিষক্রিয়া শুরু হলে তাকে দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
মামলার বাদী আব্দুর রউফের অভিযোগ, বীরগঞ্জ থানায় ওইদিনই হত্যা মামলা করতে গেলে তার নিরক্ষরতার সুযোগে অভিযোগ পুলিশের লোকেরাই লেখে এবং দুটি কাগজে তার স্বাক্ষর করিয়ে নেয়।
“কিন্তু পরে জানতে পারি আমার স্বাক্ষর নেয়া দুটি কাগজে দুই রকমের বর্ণনা দেয়া হয়েছে, যার একটিতে লেখা হয়েছে এই মৃত্যুর বিষয়ে কারো বিরুদ্ধে আমার কোনো অভিযোগ নাই। অপরটিতে লেখা হয়েছে আমার ধারণা মর্জিনা বিষপান করে আত্মহত্যা করেছে।”
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ইউপি সদস্য সাবিনা ইয়াসমিন অভিযোগ করেন, মর্জিনার শরীরে একাধিক আঘাতের চিহৃ থাকলেও উপ-পরিদর্শক জাহাঙ্গীর আলম সুরতহাল রিপোর্টে সেটি উল্লেখ করেননি।
পুলিশ আসামির কাছ থেকে মোটা অংকের আর্থিক সুবিধা নিয়ে দুটি কাগজে দুই ধরনের বক্তব্য লিখে হত্যাকারীকে বাঁচানোর চেষ্টা করছে বলে দাবি করেন সাবিনা।
ওসি শওকত হোসেন দুটি কাগজে বাদী রউফের স্বাক্ষর নেয়ার কথা স্বীকার করে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “মর্জিনার মৃত্যুতে ‘কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ নেই’ লেখা কাগজটি বাদ দিয়ে অপরটি রেকর্ড করা হয়েছে।”
আর্থিক সুবিধা নেয়ার অভিযোগ সত্য নয় দাবি করে ওসি শওকত বলেন, ভুল কিছু লেখা হলেও ময়নাতদন্ত রিপোর্টে যা পাওয়া যাবে মামলা সে অনুযায়ীই চলবে।