বিচারপতি অপসারণের ক্ষমতা পেল সংসদ

বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা আইন প্রণেতাদের হাতে ফিরিয়ে দিতে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধন বিল পাস হয়েছে।

মঈনুল হক চৌধুরীসুমন মাহবুব, , শহীদুল ইসলাম ও সাজিদুল হকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 Sept 2014, 01:44 PM
Updated : 25 May 2017, 11:36 AM

সংসদের বাইরে থাকা বিএনপি এবং জ্যেষ্ঠ আইনজীবীদের বিরোধিতার মধ্যে বুধবার সংসদ অধিবেশনে সর্বসম্মতভাবে পাস হয় শাসনতন্ত্র সংশোধনের এই প্রস্তাব।

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক উত্থাপিত ‘সংবিধান (ষোড়শ সংশোধন) বিল-২০১৪’ পাসের সময় অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী।

সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদের উপস্থিতিতে প্রথমে কণ্ঠ এবং বিভক্তি ভোটে পাস হয় সংবিধান সংশোধনের প্রস্তাব।

স্পিকার বিভক্তি ভোটের ফলাফল পড়ে শোনালে দেখা যায়, বিলের পক্ষে ৩২৭টি ভোট পড়েছে, আর বিপক্ষে কোনো ভোট নেই। অর্থাৎ সরকারি দল আওয়ামী লীগ ও তার শরিকরাসহ বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সবাই বিলের পক্ষে ভোট দিয়েছেন।

রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষরের পর গেজেট আকারে প্রকাশ হওয়ার মধ্য দিয়ে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধন কার্যকর হবে।

এখন ‘অসদাচরণ ও অসামর্থ্যের’ অভিযোগ প্রমাণিত হলে বিচারপতিদের অপসারণ করতে পারবে সংসদ, যে ক্ষমতা স্বাধীনতার পর চার বছর পর্যন্ত আইন প্রণেতাদের হাতে ছিল।

এক্ষেত্রে ষোড়শ সংশোধনীর আলোকে তদন্ত ও প্রমাণ বিষয়ক আলাদা একটি আইন প্রণয়নেরও উদ্যোগ নেওয়া হবে, যা আগামী তিন মাসে হবে বলে আইনমন্ত্রী ইতোমধ্যে জানিয়েছেন।

আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার ২০১১ সালে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধন করেছিল। বিএনপির ভোট বর্জনের মধ্যে টানা দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার ৯ মাসের মাথায় ষোড়শ সংশোধন বিল পাস করল।

গত ১৮ অগাস্ট মন্ত্রিসভায় অনুমোদনের পর ৭ সেপ্টেম্বর সংবিধান সংশোধনের এই বিল সংসদে উত্থাপিত হয়েছিল। তার ১০ দিনের মধ্যে তা পাস হল।

বিএনপি বলে আসছে, আওয়ামী লীগ বিচার বিভাগের ওপর নিরঙ্কুশ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার জন্য সংবিধান সংশোধনের এই উদ্যোগ নিয়েছে।

ক্ষমতায় ফিরলে আওয়ামী লীগ আমলে আনা এই সংশোধনীগুলো বাতিলের ঘোষণাও দিয়েছে দলটি।

অন্যদিকে জ্যেষ্ঠ আইনজীবীদের সন্দেহ, ভালোমতো যাচাই না করে এই মুহূর্তে প্রয়োজন না থাকা সত্ত্বেও তড়িঘড়ি করে এই বিল পাসের ক্ষেত্রে অন্য কোনো উদ্দেশ্য রয়েছে।

তবে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বারবার বলে আসছেন, বিএনপি ও জ্যেষ্ঠ আইনজীবীরা না বুঝেই এই বিলের সমালোচনা করছেন।

“আমরা শুধু বাহাত্তরের অনুচ্ছেদ প্রতিস্থাপন করছি। বিচারপতিদের অভিসংশন নয়, বরং অপসারণও করবে না সংসদ। তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হলে সংসদ তা অনুমোদন করবে।”

বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও মর্যাদা সুরক্ষা আরো দৃঢ় করতেই সংবিধানে এই সংশোধনী আনা হচ্ছে বলে বিরোধিতার জবাবে বলেন ’৭২ এর সংবিধান প্রণয়ন কমিটির এই সদস্য।

সংসদের কাছে ক্ষমতা ফিরে আসা

১৯৭২ সালে সংবিধান প্রণয়নের সময় উচ্চ আদালতের বিচারকদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদের হাতে ছিল।

১৯৭৫ সালে সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনীর (বাকশাল গঠন) মাধ্যমে বিচারপতিদের অভিশংসনের ক্ষমতা রাষ্ট্রপতির হাতে ন্যস্ত হয়।

চতুর্থ সংশোধনী বাতিল হলে জিয়াউর রহমানের সামরিক সরকারের আমলে এক সামরিক আদেশে বিচারপতিদের অভিশংসনের জন্য সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল গঠন করা হয়।

২০১১ সালে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর সময়ে বিচারপতিদের সরানোর ক্ষমতা সংসদের হাতে ফিরিয়ে দেয়া নিয়ে আলোচনা ওঠে, যদিও তখন তা করা হয়নি।

পরে ২০১২ সালে তৎকালীন স্পিকার ও বর্তমান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের একটি রুলিংকে কেন্দ্র করে কয়েকজন সংসদ সদস্য হাই কোর্টের একজন বিচারপতিকে অপসারণের দাবি তোলেন।

মূলত সে সময়েই বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদের হাতে ফিরিয়ে আনার দাবি জোরালো হয়।

গত ৭ সেপ্টেম্বর ‘সংবিধান (ষোড়শ সংশোধন) বিল-২০১৪’ সংসদে উত্থাপনের পর পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য এক সপ্তাহ সময় দিয়ে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।

দুটি বৈঠক করে সংসদীয় কমিটি বিলটি পরীক্ষ করে গত রোববার এ সম্পর্কে সুপারিশসহ প্রতিবেদন সংসদে উপস্থাপন করেন।

সংসদীয় কমিটি বিলের ‘দীর্ঘ’ প্রস্তাবনা বাদ দেয় এবং উদ্দেশ্যে ও কারণ সম্বলিত বিবৃতিতে কিছু পরিবর্তন আনে।

সংসদে উত্থাপিত প্রস্তাবে, কোনো বিচারপতির অসদাচরণ বা অসামর্থ্য সম্পর্কে ‘তদন্ত ও প্রমাণ’ আইন করে সংসদ নিয়ন্ত্রণ করার শর্ত রাখা হয়েছে।

কাটছাঁট করে বিলে সামান্য পরিবর্তন

সংসদে উত্থাপিত বিলে বলা ছিলো “... এই অনুচ্ছেদের (২) দফার অধীন প্রস্তাব সম্পর্কিত পদ্ধতি এবং কোন বিচারকের অসদাচরণ বা অসামর্থ্য সম্পর্কে তদন্ত ও প্রমাণের পদ্ধতি সংসদ আইনের দ্বারা নিয়ন্ত্রণ করিবেন।”

সংসদীয় কমিটি এই দফা পরিবর্তন করে বলেছে, “...সংসদ আইনের দ্বারা নিয়ন্ত্রণ করিতে পারিবেন।”

এছাড়া উদ্দেশ্য ও কারণ সম্বলিত বিবৃতিতে পরিবর্তন এনে বলা হয়েছে, “... বিলের ৩ দফার বিধান অনুযায়ী কোন বিচারকের অসদাচরণ বা অসামর্থ্য সম্পর্কে তদন্ত ও প্রমানের পদ্ধতি সংসদ আইনের দ্বারা নিয়ন্ত্রণ করিতে পারিবেন। সুতরাং উক্ত আইনে সুনির্দিষ্ট পদ্ধতি অনুসরণে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টের কোন বিচারককে অপসারণের সুযোগ থাকিবে না।...”

এ সংক্রান্ত আইন সংবিধান সংশোধনের প্রস্তাব পাস হওয়ার তিন মাসের মধ্যে করা হবে বলে আইনমন্ত্রী জানিয়েছেন।

বুধবারও সংসদে আইনমন্ত্রী বলেছেন, “এই সংশোধনী আসার পরে যদি কাজে লাগাতে হয় তবে ওই আইন তৈরি করে কাজে লাগাতে হবে। এটি ইফেক্টিভ করতে হলে আইন করতে হবে।”

সংসদে উত্থাপিত বিলের প্রস্তাবনাতে বিচারপতি অপসারণের ক্ষমতা সংসদের হাত থেকে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের হাতে যাওয়ার প্রেক্ষাপট বর্ণনা করা ছিলো।

সংসদীয় কমিটি এটি বাদ দিয়ে প্রস্তাবনাতে বলেছে, “যেহেতু নিম্নবর্ণিত উদ্দেশ্যসমূহ পূরণকল্পে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ৯৬ অনুচ্ছেদের অধিকতর সংশোধন সমীচীন ও প্রয়োজনীয়; সেহেতু এতদদ্বারা নিম্নরূপ আইন করা হইলো...”

সংসদে উত্থাপিত বিলের প্রস্তাবনাতে ‘ভুল’ থাকায় সেটি সংশোধনও করেন আইনমন্ত্রী। উত্থাপিত বিলের প্রস্তাবনাতে, বিচারপতি অপসারনের ক্ষমতা সংসদের কাছ থেকে রাষ্ট্রপতি এবং পরে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের কাছ যাওয়ার ক্রম থেকে রাষ্ট্রপতির হাতে যাওয়ার বিষয়টি বাদ যায়।

যেভাবে পাস

সংবিধান সংশোধন বিল পাসের আগে বিলের ওপর দেওয়া জনমত যাচাই, বাছাই কমিটিতে পাঠানো এবং সংশোধনী প্রস্তাবগুলো কণ্ঠভোটে নাকচ হয়।

বিলের ওপর জনমত যাচাইয়ের প্রস্তাব দেন বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ, জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু, কাজী ফিরোজ রশীদ, এম এ হান্নান, ইয়াহইয়া চৌধুরী, রওশন আরা মান্নান, নুরুল ইসলাম মিলন, স্বতন্ত্র সদস্য রুস্তম আলী ফরাজী, হাজী মো. সেলিম, তাহজীব আলম সিদ্দিকী, আব্দুল মতিন,  বিএনএফ এর আবুল কালাম আজাদ, জাসদের মইন উদ্দীন খান বাদল।

সংবিধান বিলটি বাছাই কমিটিতে পাঠানোর প্রস্তাব দেন স্বতন্ত্র সদস্য রুস্তম আলী ফরাজী, হাজী মো. সেলিম, তাহজীব আলম সিদ্দিকী, আব্দুল মতিন, জাতীয় পার্টির এম এ হান্নান, ইয়াহইয়া চৌধুরী, রওশন আরা মান্নান, বিএনএফ’র আবুল কালাম আজাদ।

জনমত যাচাইয়ের প্রস্তাব স্পিকার ভোটে দিলে জাতীয় পার্টি হাত তুলে বিপক্ষে ভোট দেয়; যদিও তারা এই প্রস্তাবের পক্ষে ছিল। এসময় সরকারি দলের সংসদ সদস্যদের হাসাহাসি করতে দেখা যায়।

বাছাই কমিটিতে পাঠানোর প্রস্তাবের সময় জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্যরা চুপ করে ছিল।

বিলটির ওপর বিরোধী দল জাতীয় পার্টি, সরকারের শরিক ওয়ার্কার্স পার্টি ও জাসদ এবং স্বতন্ত্র ১৫জন সদস্য মোট ৩০টি সংশোধনী প্রস্তাব দেন।

এর মধ্যে রুস্তম আলী ফরাজী ও হাজী মো. সেলিম বিচারকদের বয়স ৭০ করার প্রস্তাব দেন। জাতীয় পার্টির কাজী ফিরোজ রশীদ বিলে জুডিশিয়াল ইনভেস্টিগেশন কাউন্সিল গঠনের প্রস্তাব দেন। রুস্তম আলী ফরাজীও একই ধরনের আরেকটি প্রস্তাব দেন।

ওয়ার্কার্স পার্টির সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা, মোস্তফা লুৎফুল্লাহ, শেখ হাফিজুর রহমান, টিপু সুলতান ও ইয়াসিন আলী বিচারক নিয়োগের নীতিমালা প্রণয়নের প্রস্তাব করেন। জাসদের শিরীন আখতার, নাজমুল হক প্রধানও একই প্রস্তাব দেন।

স্বতন্ত্র সদস্য রুস্তম আলী ফরাজীও একই ধরনের আরেকটি প্রস্তাব দেন।

সংশোধনী প্রস্তাবগুলো নাকচ হওয়ার পর স্পিকার বিলের দফাগুলো গ্রহণ করার জন্য সংসদের সামনে ভোটে দেন। এসময় সংসদ সদস্যরা কণ্ঠভোট ও বিভক্তি ভোটে দফাগুলো গ্রহণ করেন। এসময় কণ্ঠভোটে কোন ‘না’ ভোট পড়েনি।

বিভক্তি ভোটের সময় সংসদ সদস্য তাদের আসন ছেড়ে লবিতে গিয়ে নির্ধারিত ব্যালটে স্বাক্ষর দিয়ে ভোট দেন।

সংবিধান সংশোধনের বিল কণ্ঠভোটের সঙ্গে সঙ্গে বিভক্তি ভোটের মাধ্যমে পাস করানোর বিধান রয়েছে।

বিলটি স্পিকার ভোটে দিলে প্রথমে কণ্ঠভোটে তা গ্রহণ করা হয়। পরে বিভক্তি ভোটের মাধ্যমে সেটি পাস করা হয়।

দশম সংসদে সংরক্ষিত আসনের মহিলা সদস্যদের নিয়ে আওয়ামী লীগ ২৭৬, ওয়ার্কার্স পার্টি ৭, জাসদ ৬, তরিকত ফেডারেশন ২, জাতীয় পার্টি ৪০, জেপি ২, বিএনএফ ১ ও স্বতন্ত্র ১৬ জন।

বিলে যা ছিল

সংবিধানের বর্তমান ৯৬ অনুচ্ছেদের দফা ২, ৩, ৪, ৫, ৬, ৭, ও ৮ এ পরিবর্তে নিম্মরূপ দফার প্রতিস্থাপিত হবে।

“(২) প্রমাণিত অসদাচরণ বা অসামর্থ্যের কারণে সংসদের মোট সদস্য-সংখ্যার অন্যূন দুই-তৃতীয়াংশ গরিষ্ঠতার দ্বারা সমর্থিত সংসদের প্রস্তাবক্রমে প্রদত্ত রাষ্ট্রপতির আদেশ ব্যতীত বিচারককে অপসারিত করা যাইবে না।”

“(৩)এই অনুচ্ছেদের (২) দফার অধীন প্রস্তাব সম্পর্কিত পদ্ধতি এবং কোন বিচারকের অসদাচরণ বা অসামর্থ্য সম্পর্কে তদন্ত ও প্রমাণের পদ্ধতি সংসদ আইনের দ্বারা নিয়ন্ত্রণ করিতে পারিবনে।

(৪) কোন বিচারক রাষ্ট্রপতিকে উদ্দেশ করিয়া স্বাক্ষরযুক্ত পত্রযোগে স্বীয় পদ ত্যাগ করিতে পারিবেন।”

এছাড়া উদ্দেশ্য ও কারণ সম্বলিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “... বিলের ৩ দফার বিধান অনুযায়ী কোন বিচারকের অসদাচরণ বা অসামর্থ্য সম্পর্কে তদন্ত ও প্রমানের পদ্ধতি সংসদ আইনের দ্বারা নিয়ন্ত্রণ করিতে পারিবেন। সুতরাং উক্ত আইনে সুনির্দিষ্টকৃত পদ্ধতি অনুসরণে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টের কোন বিচারককে অপসারণের সুযোগ থাকিবে না।...”

এদিকে বিলটি নিয়ে আলোচনা শুরু হলে বিচারপতিদের সমমর্যাদার সাংবিধানিক পদধারীদের অপসারণ নিয়ে অস্পষ্টতা দেখা দেয়।

বর্তমান সংবিধান অনুযায়ী, সংবিধানের ১১৮, ১২৯ ও ১৩৯ অনুচ্ছেদে সুপ্রিম কোর্টের বিচারকদের অপসারণের ক্ষেত্রে যেসব কারণ উল্লেখ রয়েছে, সেগুলো ছাড়া সমমর্যাদার সাংবিধানিক পদধারীদের অপসারণ করা যাবে না।

অর্থাৎ নির্বাচন কমিশন, সরকারি কর্ম কমিশন এবং মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রকের অপসারণ বিচারপতিদের ন্যায় একই পদ্ধতি ও কারণে হবে।

বিষয়টি নিয়ে আলোচনা উঠলে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেছিলেন, “নির্বাচন কমিশনসহ সাংবিধানিক পদধারীদের অভিশংসন সংসদ করবে না।”

“তাদের অভিশংসন করা হয় না। ‘অসদাচরণ বা অসামর্থ্য’ হলে ওই সদস্যকে রাষ্ট্রপতি পদত্যাগ করতে বলবেন।”