ঐশীর মামলায় সম্পূরক অভিযোগপত্র

পুলিশ কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমান ও তার স্ত্রীকে হত্যার মামলায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি নেওয়া বিচারকসহ সাতজনকে সাক্ষী হিসাবে অন্তর্ভুক্ত করে আদালতে দুটি সম্পূরক অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে।

আদালত প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 Sept 2014, 10:55 AM
Updated : 17 Sept 2014, 12:37 PM

তদন্তে ত্রুটির কারণে তদন্ত কর্মকর্তা ও রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীকে বিচারকের ভর্ৎসনার একদিন পরেই বুধবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে সম্পূরক অভিযোগপত্র দেন  তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক আবুয়াল খায়ের মাতুব্বর।

মামলায় পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের দিন রয়েছে ২৩ সেপ্টেম্বর।

নতুন সাক্ষীদের মধ্যে রয়েছেন মামলার আসামি নিহত দম্পতির একমাত্র মেয়ে ঐশী রহমানের জবানবন্দি নেওয়া ঢাকার মহানগর হাকিম আনোয়ার সাদাত।

অন্য সাক্ষীরা হলেন- মহানগর হাকিম মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান নূর,  রেজাউল করিম ও মো. মোস্তাফিজুর রহমান, সাবেক মহানগর হাকিম কেশব রায় চৌধুরী, সুরতহালের দুই সাক্ষী  মো. রবিউল আলম ও সোলেমান।

সস্পুরক অভিযোগপত্রে মূল অভিযোগপত্রের আটজন সাক্ষীকে বাদ দেওয়া হয়েছে বলে নথিপত্র সূত্রে জানা গেছে।

দুইটি সম্পূরক অভিযোগপত্রের একটি ঐশী ও তার দুই বন্ধু মিজানুর রহমান রনি, আসাদুজ্জামান জনির বিরুদ্ধে। অন্যটি ঐশীদের গৃহকর্মী খাদিজা আক্তার সুমির বিরুদ্ধে, যার বিচার চলছে আলাদাভাবে শিশু আদালতে।

ঐশীদের বিরুদ্ধে মামলাটি চলছে মহানগর দায়রা জজ আদালতে। সুমি ছাড়া অন্য সবাই রয়েছেন কারাগারে।

সম্পূরক অভিযোগপত্র গ্রহণের দুটি আবেদনে বলা হয়েছে, “১৬৪ ধারার স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি গ্রহণকারী মুদ্রণজনিত ত্রুটির কারণে বাদ পড়েছেন আর সুরতহালের দুই সাক্ষীকে খুঁজে না পাওয়ায় তাদের মূল অভিযোগপত্রে অন্তর্ভুক্ত  করা যায়নি।”

সস্পূরক অভিযোগপত্র দুইটি মামলার বিচারিক নথিতে সংযুক্ত করা হয়নি বলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকউটর শাহ আলম তালুকদার।

আলোচিত এ মামলার অভিযোগপত্রে ত্রুটির কারণে গত সোমবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. জহুরুল হক প্রসিকিউটর শাহ আলম তালুকদার ও  তদন্ত কর্মকর্তা  আবুয়াল খায়ের মাতুব্বরকে ভর্ৎসনা করেছিলেন।

আদালতে ঐশী রহমান (ফাইল ছবি)

গত বছরের ১৬ অগাস্ট রাজধানীর মালিবাগের চামেলীবাগে নিজেদের বাসা থেকে পুলিশের বিশেষ শাখার (পলিটিক্যাল) পরিদর্শক মাহফুজুর রহমান ও তার স্ত্রী স্বপ্না রহমানের ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরদিন গৃহকর্মী সুমীকে নিয়ে রমনা থানায় আত্মসমর্পণ করে ঐশী। ওই বছরের ২৪ অগাস্ট আদালতে খুনের দায় স্বীকার করে ঐশী জবানবন্দি দেয়।

গত ৯ মার্চ ঢাকার  মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে ঐশীসহ চারজনকে অভিযুক্ত করে দুটি অভিযোগপত্র দেন তদন্ত কর্মকর্তা। ৬ মে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন মহানগর দায়রা জজ।

মামলায় এ পর্যন্ত রাষ্ট্রপক্ষে মোট ১৯ জনের সাক্ষ্য নেয়া হয়েছে।