যুদ্ধাপরাধে ট্রাইব্যুনালে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতে ইসলামীর নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর আপিলের রায়ে সাজা কমিয়ে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেয়ার পর বুধবার দুপুরে শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করে গণজাগরণ মঞ্চের কর্মীরা।
এর এক পর্যায়ে তাদের ওপর চড়াও হয় পুলিশ। এতে মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকারসহ কয়েকজন কর্মী আহত হন।
এ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রণালয়ে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন সাংবাদিকদের বলেন, “একটা রায়ে সবাই সন্তুষ্ট হতে পারে না। তারা সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসি চেয়েছিল, সেটা পায়নি।
আপিল বিভাগের রায়েও সাঈদীর মৃত্যুদণ্ড বহাল থাকবে বলে তিনি নিজেও আশা করেছিলেন বলে জানান আসাদুজ্জামান খাঁন।
“রায়ে একেক জনের প্রতিক্রিয়া একেক রকম হবে। কিন্তু জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দায়িত্বও আমাদের পালন করতে হবে,” আন্দোলনকারীদের ওপর পুলিশি অ্যাকশনের পক্ষে যুক্তি দেন তিনি।
গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে ট্রাইব্যুনালে জামায়াত নেতা আব্দুল কাদের মোল্লাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়ার পর তার ফাঁসির দাবিতে ছাত্র-জনতার অংশগ্রহণে গড়ে উঠে শাহবাগের আন্দোলন, যা পরে গণজাগরণ মঞ্চ নামে পরিচিতি পায়।
তখন প্রায় এক মাস শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নিয়ে যুদ্ধাপরাধের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যায় তারা। সে সময় পুলিশের পক্ষ থেকেও তাদের নিরাপত্তা দেয়া হয়।
গণজাগরণ মঞ্চের আন্দোলনের মুখেই আইন সংশোধন করে ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষেরও আপিল করার সুযোগ দেয়া হয় এবং কাদের মোল্লার রায়ের বিরুদ্ধে আপিল নিষ্পত্তির পর গত বছরের ডিসেম্বরে তার মৃত্যুদণ্ডাদেশ কার্যকর হয়।