রায় ও ‘হামলার’ প্রতিবাদে বিকালে শাহবাগে সমাবেশ

দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর সাজা কমিয়ে আমৃত্যু কারাদণ্ডের রায় এবং রায় প্রত্যাখ্যান করে আন্দোলনকারীদের ওপর পুলিশি ‘হামলার’ প্রতিবাদে বিকালে শাহবাগে সমাবেশ ডেকেছে গণজাগরণ মঞ্চ।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 Sept 2014, 08:36 AM
Updated : 17 Sept 2014, 08:36 AM

পুলিশের ছোড়া কাঁদুনে গ্যাস ও গরম জলে মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকারসহ কয়েকজন আহত হওয়ার পর দুপুরে এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন জাগরণ মঞ্চের অন্যতম সংগঠক ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি হাসান তারেক।

তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে ট্রাইব্যুনালে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সাঈদীর সাজা কমিয়ে আমৃত্যু কারাদণ্ডের রায় জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছে। এই রায়ের প্রতিবাদে আন্দোলন করায় গণজাগরণ মঞ্চের কর্মীদের ওপর পুলিশ হামলা চালিয়েছে। ওই রায় এবং পুলিশি হামলার প্রতিবাদে মঞ্চের পক্ষ থেকে সমাবেশ ডাকা হয়েছে।”

বুধবার বিকাল ৪টায় শাহবাগে প্রজন্ম চত্বরে এই সমাবেশ হবে বলে জানান তিনি।

একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর আপিলের রায় হয় সকালে।

রায়ে সাঈদীকে আমৃত্যু কারাদণ্ডের আদেশ দেয়া হয়। আপিল বিভাগ এই রায় ঘোষণার পর বিক্ষোভ শুরু করেন শাহবাগে অবস্থান নিয়ে থাকা গণজাগরণ মঞ্চের কর্মীরা।

জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে আঁতাত করে এই রায় দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ তাদের।

‘আঁতাতের এই রায় মানি না/প্রহসনের এই রায় মানি না’, ‘আপোসকারীর আস্তানা/জ্বালিয়ে দাও, পুড়িয়ে দাও’ প্রভৃতি স্লোগান নিয়ে বিক্ষোভ-মিছিলের এক পর্যায়ে শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নেয় তারা। এর ঘণ্টাখানেক পর তাদের উপর চড়াও হয় পুলিশ।

পুলিশের ছোড়া কাঁদুনে গ্যাস ও গরম জলে মঞ্চের মুখপাত্র ইমরানসহ বেশ কয়েকজন আহত হন। তাদের মধ্যে চারজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে ট্রাইব্যুনালে জামায়াত নেতা আব্দুল কাদের মোল্লাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়ার পর তার ফাঁসির দাবিতে ছাত্র-জনতার অংশগ্রহণে গড়ে উঠে শাহবাগের এই আন্দোলন।

তাদের আন্দোলনের মুখেই আইন সংশোধন করে ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষেরও আপিল করার সুযোগ তৈরি হয় এবং কাদের মোল্লার রায়ের বিরুদ্ধে আপিল নিষ্পত্তির পর গত বছরের ডিসেম্বর তার মৃত্যুদণ্ডাদেশ কার্যকর হয়।

যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালে প্রথম অভিযুক্ত ব্যক্তি হিসাবে জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সাঈদীর বিচার শুরু হয়েছিল ২০১১ সালের ৩ অক্টোবর। ট্রাইব্যুনালে রায় হয় ২০১৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি, যাতে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়।