রায়ে হতাশা, শাহবাগে ‘হামলায়’ ক্ষোভ সিপিবির

দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর সাজা কমিয়ে আজীবন কারাদণ্ড দেয়ায় হতাশা জানিয়ে যুদ্ধাপরাধের বিচার নিশ্চিতে দেশবাসীকে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 Sept 2014, 07:39 AM
Updated : 17 Sept 2014, 09:59 AM

একইসঙ্গে গণজাগরণ মঞ্চের কর্মীদের ওপর পুলিশের কাঁদুনে গ্যাস ও জলকামান ব্যবহারে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে দলটি।

একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে ট্রাইব্যুনালে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সাঈদীর আপিলের রায়ে সাজা কমিয়ে তাকে আমৃত্যু কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত।

বুধবার রায় ঘোষণার পর সিপিবির এক বিবৃতিতে বলা হয়, “দেলাওয়ার হোসাইন সাইদীর মৃত্যুদণ্ডাদেশ রহিত করে তাকে যাবজ্জ্বীবন কারাদণ্ড প্রদান আমাদেরকে হতাশ ও ক্ষুব্ধ করেছে।

“দীর্ঘ সময় ধরে, খোলামেলা সাক্ষ্য-প্রমাণ ও যুক্তি-তর্ক নিখুঁতভাবে বিবেচনা করে, আন্তর্জাতিক মানববতাবিরোধী অপরাধ ট্রাইব্যুনাল সাইদীর বিরুদ্ধে ‘মৃত্যুদণ্ডাদেশ প্রদানযোগ্য’ একাধিক অপরাধ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে বলে রায় দিয়েছিল।

“সে কারণে ট্রাইব্যুনাল স্বাভাবিকভাবেই সাইদীকে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করেছিল। এমতাবস্থায় উচ্চতর আপিল আদালতের রায়ে আজ সেই মত্যুদণ্ডাদেশ রদ করে যাবজ্জীবন দণ্ডাদেশ প্রদানের সিদ্ধান্ত দেশবাসীকে হতাশ ও ক্ষুব্ধ করেছে।”

সিপিবির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবু জাফর আহমেদের পক্ষ থেকে পাঠানো ওই বিবৃতিতে বলা হয়, “হিটলারের নাৎসি যুদ্ধাপরাধীদের মৃত্যুদণ্ড না দেয়া হলে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর বিশ্ববাসীর ক্ষুব্ধ হওয়াটা যে কারণে যুক্তিযুক্ত হতো, একাত্তরের জল্লাদ সাঈদীর মৃত্যুদণ্ড না হওয়ায় দেশবাসীর ক্ষুদ্ধ হওয়াটা একইভাবে যুক্তিযুক্ত।

“ইতিহাসের দায়, ন্যায়বিচার ও ভয়ঙ্কর খুনী ও যুদ্ধাপরাধী সাঈদীর মানবতাবিরোধিতা সাঈদীর জন্য কেবলমাত্র মৃত্যুদণ্ডই দাবি করে, তার চেয়ে কম কিছু নয়।”

সকালে আপিল বিভাগ সাঈদীর আপিলের রায় ঘোষণার পর বিক্ষোভে ফেটে পড়েন শাহবাগে অবস্থান নিয়ে থাকা গণজাগরণ মঞ্চের কর্মীরা।

বিক্ষোভ মিছিলের পর শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নিয়ে বিক্ষাভ শুরু করলে পুলিশ গণজাগরণ মঞ্চের কর্মীদের উপর চড়াও হয়।

এ ঘটনায় ক্ষোভ জানিয়ে সিপিবির বিবৃতিতে বলা হয়, “আজ সকালে গণজাগরণ মঞ্চের সমাবেশের উপর পুলিশ বাহিনীর বর্বর হামলা ও গণজাগরণ মঞ্চের আহ্বায়ক ইমরান এইচ সরকার এবং ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি হাসান তারেক, লিটন নন্দী, শাম্মী হক, ধ্রুব, জনার্দান নান্টু, ফারুক অভিসহ নেতৃবৃন্দকে আহত করার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।”