‘সামাজিক আন্দোলনেই ফিরবে পাটশিল্পের ঐতিহ্য’

জনসচেতনতা ও সামাজিক আন্দোলনের মধ্যে দিয়েই বাংলাদেশে পাটশিল্পের হারানো ঐতিহ্য আবার ফিরিয়ে আনা সম্ভব বলে মত দিলেন এক পরামর্শ সভার আলোচকরা।  

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 Sept 2014, 04:41 PM
Updated : 16 Sept 2014, 04:41 PM

মঙ্গলবার চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে পাট ও পাটশিল্প রক্ষা কমিটির আয়োজনে ‘পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার, আইনের পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন ও পাট শিল্পের উন্নয়ন পরিকল্পনা’ শিরোনামে এ পরামর্শ সভা হয়।

পাট অধিদপ্তর চট্টগ্রামের সহকারী পরিচালক অরিন্দম কুমার ধর সভায় বলেন, শিল্পের ‘স্থানীয়করণের অভাবে’ পাট খাত ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। স্থানীয় পর্যায়ে শিল্প গড়ে উঠলে এ সমস্যা আর থাকবে না। ভবিষ্যতে পাটের মণ্ড রপ্তানিতে বাংলাদেশের অপার সম্ভাবনা রয়েছে।

“পাটের একর প্রতি উৎপাদন বেড়েছে। কৃষকরা আবার পাটে আগ্রহ ফিরে পাচ্ছে। জনসচেতনতা ও পাটজাত পণ্য ব্যবহারে সামাজিক আন্দোলন গড়ে উঠলেই হারানো ঐতিহ্য আবার ফিরে আসবে।”

ধান-চাল-ভুট্টা-গম-সার ও চিনির মোড়কে পাটের মোড়ক ব্যবহার বাড়ানোর ওপর জোর দেন অরিন্দম কুমার।

বাংলাদেশ জুট মিলস কর্পোরেশনের চট্টগ্রামের আঞ্চলিক কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, “মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে সংকটের কারণে আমাদের রপ্তানি কমে যাওয়ায় আমরা অভ্যন্তরীণ বাজারে দৃষ্টি দিচ্ছি।”

সিপিবি নেতা অধ্যাপক অশোক সাহা পাট শিল্পকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে জাতীয় আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানান।

পাট ও পাট শিল্প রক্ষা কমিটির সভাপতি আহমদ কবীরের সভাপতিত্বে ও  মোস্তফা কামাল যাত্রার সঞ্চালনায় এ সভায় ধারণাপত্র উপস্থাপন করেন শরীফ চৌহান।

অন্যদের মধ্যে কমিটির কেন্দ্রীয় পরিষদের সাধারণ সম্পাদক খালিদ হোসেন, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর গিয়াস উদ্দিন ও রেহানা কবির রানু, ট্রেড ইউনিয়ন নেতা আমিনুর রহমান, চালকল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক স্বপন কুমার সাহা ও চাল ব্যবসায়ী নিজাম উদ্দিন সভায় বক্তব্য দেন।

সভা শেষে পাট ও পাট শিল্প রক্ষা কমিটির এক সভায় আহমদ কবীরকে আহ্বায়ক ও শরীফ চৌহানকে সদস্য সচিব করে ১১ সদস্যের চট্টগ্রাম জেলা কমিটি গঠন করা হয়।