প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান মঙ্গলবার সংসদে এই বিল উত্থাপন করেন।
বিলটি এক মাসের মধ্যে পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়েছে।
গত ২৩ জুন মন্ত্রিসভার অনুমোদন পাওয়া এ প্রস্তাব আইনে পরিণত হলে আটটি সাধারণ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের পাশাপাশি উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা বোর্ড গঠন করবে সরকার।
বিলে বলা হয়েছে, উপানুষ্ঠানিক প্রাথমিক শিক্ষার আওতায় থাকবে ৮ থেকে ১৮ বছর বয়সীরা, যারা কখনও স্কুলে যায়নি বা প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করার আগেই ঝরে পড়েছে।
উপানুষ্ঠানিক, বয়স্ক ও জীবনব্যাপী শিক্ষার ক্ষেত্রে বয়সসীমা হবে ১৫ বছর বা তার বেশি, যে বয়সের নারী-পুরুষ কখনও স্কুলে যায়নি বা প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ঝরে পড়েছে।
উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা আইন লঙ্ঘন করলে ছয় মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে বিলে।
উপানুষ্ঠানিক শিক্ষায় পাঠদানের মাধ্যম হবে বাংলা। তবে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জন্য তাদের নিজস্ব ভাষায় পাঠদানের ব্যবস্থা করা যাবে বলে বিলে উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রস্তাবিত আইনে বলা হয়েছে, আনুষ্ঠানিক শিক্ষার বিভিন্ন স্তরের সঙ্গে উপানুষ্ঠানিক শিক্ষার সমতা নিশ্চিত করা হবে। এ ধরনের শিক্ষার জন্য যোগ্যতা নির্ধারণ এবং তার ভিত্তিতে পাঠক্রম প্রণয়ন করা হবে।