বাগুটিয়া ইউপি চেয়ারম্যান কাহার সিদ্দিকীর অভিযোগ, গত ৪/৫ দিনে উপজেলার বাগুটিয়া ইউনিয়নের সলিমাবাদ থেকে কয়লা পর্যন্ত ৩ কিলোমিটার এলাকায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অদিদপ্তর (এলজিইডি) কর্তৃক রোপন করা রাস্তার পাশের ইউক্যালিপ্টাস, কড়ই ও জামসহ বিভিন্ন প্রজাতির বহু গাছ কেটে ফেলা হয়েছে।
“এলজিইডির উপ-সহকারী প্রকৌশলী শহিদুল ইসলাম সঙ্গে যোগসাজ করে উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মামুনের ইন্ধনে উপজেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক আনিস শিকদার বাগুটিয়া এলাকার গাছগুলো কাটেন।”
তিনি আরো জানান, যমুনা নদী এলাকার অন্তত ১ কিলোমিটার দুরত্বে অবস্থান করলেও ভাঙনের দোহাই দিয়েই প্রশাসন গাছগুলো কাটার অনুমতি দিয়েছে বলেও জানান তিনি।
উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, গত সপ্তাহে উপজেলার বাগুটিয়া ইউনিয়নের চৌবাড়িয়া এলাকায় উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল-মামুনের নির্দেশে কাটা হয় ইউক্যালিপ্টাস, কড়ইসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ।
দরপত্রের মাধ্যমে গাছ কাটার নিয়ম থাকলেও উপজেলা প্রশাসন, বনবিভাগ ও এলজিইডির যোগসাজসে গাছগুলো কাটা হচ্ছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।
এ বিষয়ে উপজেলা বন কর্মকর্তা খিতিশ চন্দ্র ভদ্র জানান, “বাগুটিয়া এলাকার গাছগুলো এলজিইডি কর্তৃপক্ষ রোপন করেছে, তাই বিষয়টি তারাই দেখবে।”
চৌহালী উপজেলার এলজিইডির উপ-সহকারী প্রকৌশলী শহিদুল ইসলাম জানান, সলিমাবাদ এলাকায় ৪৫টি গাছ কাটার জন্য অনুমতি দিয়েছেন তিনি। যদি কেউ অতিরিক্ত গাছ কেটে থাকে তাহলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উপজেলার সহকারী প্রকৌশলী অসুস্থতাজনিত ছুটিতে থাকায় তিনি গাছ কাটার অনুমতি দেন বলে জানান।
তবে উপ-সহকারী প্রকৌশলী গাছ কাটার অনুমতি দিতে পারেন না বলে জানান তিনি।
চৌহালী থানার ওসি শামসুল হক মঙ্গলবার বিকালে জানান, বেশ কিছুদিন যাবত সরকারি গাছ কাটা হলেও এখনো কেউ থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক বিল্লাল হোসেন, চৌহালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) আব্দুর রহমান, বনবিভাগের পাবনা-সিরাজগঞ্জ রেঞ্জ কর্মকর্তা সাইদুল ইসলামকে মঙ্গলবার দুপুরে মোবাইল ফোনে গাছ কাটার বিষয়ে জানতে চাইলে তারা প্রত্যেকে বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মামুন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “কিছু লোক আমার নাম ভাঙিয়ে গাছ কাটছে। এ বিষয়ে প্রশাসনকে ব্যবস্থা নিতে বলেছি।”