নওগাঁর অতিরিক্ত জেলা জজ কাজী আবদুল হাসিব মো. সাঈদ (৪৫) চার দিন আগে চট্টগ্রামের হালিশহরের মোল্লা পাড়ায় ‘দ্বিতীয় স্ত্রীর’ বাসায় আসেন। মঙ্গলবার বিকালে তার পরিবারের সদস্যরা চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে লাশ নিয়ে এসে দাবি করেন, এই বিচারক আত্মহত্যা করেছেন।
পুলিশ বলছে, হাসিবের গলায় ফাঁসের দাগ আছে। আবার মাথায় বড় ধরনের আঘাতেরও চিহ্ন রয়েছে।
এ ঘটনায় সানজিদা আহমেদ মিশু, লাকী আক্তার ও ইমরান আহমদ নামে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এর মধ্যে মিশু নিজেকে হাসিবের স্ত্রী বলে দাবি করেছেন। তিনি বলেছেন, লাকী আক্তার তার মা, আর ইমরান ভাই।
“তারা বলেছিলেন- বিচারক গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। হাসাপাতালে আনার আগেই বিচারকের মৃত্যু হয় বলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান।”
সন্দেহ হওয়ায় মিশু ও লাকীকে আটক করেন ফাঁড়ির পুলিশ সদস্যরা। পরে হালিশহর থানার পুলিশ ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা হাসপাতালে এলে ওই দুই নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পরে মোল্লাপাড়ার তৈয়বের বাড়ি এলাকায় মিশুদের বাসায় গিয়ে ইমরানকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (পশ্চিম) এস এম তানভীর আরাফাত জানান।
তিনি বলেন, “ওই বিচারক আগে একটি বিয়ে করেছিলেন। তিন-চার মাস আগে চট্টগ্রামে তিনি দ্বিতীয় বিয়ে করেন।”
তানভীর আরাফাত বলেন, “বিচারকের মাথায় আঘাতের বড় চিহ্ন আছে। গলায়ও দাগ আছে। ময়নাতদন্ত করা হবে। গ্রেপ্তার তিনজনকে এখনো জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়নি। তাই এ বিষয়ে এখনই কিছু বলতে পারছি না।”
বিচারক কাজী আবদুল হাসিব মো. সাঈদ পদোন্নতি পেয়ে নওগাঁয় যোগ দেয়ার আগে চট্টগ্রামের পটিয়ায় যুগ্ম জেলা জজ হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
এর আগে তিনি চট্টগ্রামের মহানগর হাকিম হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।