মঙ্গলবার দুপুরে অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে এক মানববন্ধনে তারা এ দাবি জানান। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের কয়েক শিক্ষকও তাদের সঙ্গে যোগ দিয়ে দাবির প্রতি সংহতি প্রকাশ করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার অ্যান্ড পারফরমেন্স স্টাডিজ বিভাগের এক ছাত্রীকে বাসায় ডেকে নিয়ে যৌন হয়রানির অভিযোগে সোমবার ওই বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক সাইফুল ইসলামকে সাময়িক বরখাস্তের সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট।
মানববন্ধনে সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক সামিনা লুৎফা বলেন, “দেশে যৌন নিপীড়ন ও নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে অনেক আগে থেকেই আইন আছে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো শিক্ষকের ক্ষেত্রে সে আইনের কোনো প্রয়োগ নেই।
“সাইফুল ইসলামকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ী বহিষ্কারের পাশাপাশি তাকে আইনের আওতায় আনতে হবে।”
“ক্ষমতার অপব্যবহার করে শিক্ষকরা যে যৌন নিপীড়নের চর্চা করেন, এটি তারই একটি প্রতিফলন।সাইফুল ইসলামকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের জন্য সাত দিন সময় বেধে দিয়ে থিয়েটার অ্যান্ড পারফরমেন্স স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী সাওগাতুল ইসলাম বলেন, “তা না হলে আমাদের আন্দোলন চলবে।”
ওই শিক্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে রাজু ভাস্কর্য ও অপরাজেয় বাংলা কালো কাপড়ে ঢেকে দেয়ারও ঘোষণা দেয়া হয় মানববন্ধন থেকে।